ওয়েব ডেস্ক : ভাঙছে কংগ্রেস। উত্তর থেকে দক্ষিণে কংগ্রেসের ভাঙন রুখতে এবার আসরে নামলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। জেলায় জেলায় কর্মিসভা। শুরুটা করলেন শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে। যে জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন মানস ভুঁইঞার অনুগামীরাও। সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রে এবারের ভোটে জয়ী হন জোটপ্রার্থী। এই কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত কিছুটা হলেও অস্তিত্ব টিকে রয়েছে কংগ্রেস এবং বামেদের। সম্ভবত সে কারণেই জেলার প্রথম রাজনৈতিক সম্মেলন করার জন্য এই তমলুককেই বেছে নেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেসের এই চরম দুর্দিনেও সভা উপচে পড়ল কংগ্রেস কর্মীদের ভিড়ে। পতাকা না থাকলে বোঝার উপায় ছিল না সম্মেলনটা কাদের। এই জেলায় কংগ্রেসের হাতে আছেন একজন কাউন্সিলর, একজন পঞ্চায়েত প্রধান আর জোটের কিছু সাফল্য।


অন্যদিকে, প্রতিদিন কংগ্রেস ভাঙার নিরলস প্রচেষ্টা। সম্ভবত সে কারণেই দল ভাঙার এই রাজনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হলেন অধীর চৌধুরী। মানস ভুঁইঞার কর্মস্থল মেদিনীপুর। এই জেলায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও কম ছিল না। এই মুহূর্তে তাঁর আস্ফালন, তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক, সবটা নিয়েই জল্পনা এখন তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলে যাওয়ার প্রাক প্রস্তুতি সেরে ফেলছেন মানস। কর্মী সম্মেলনে অধীর অবশ্য একবারের জন্যও উচ্চারণ করেননি মানসবাবুর নাম। অন্যদিকে সিঙ্গুরের সাম্প্রতিক সাফল্যে যখন মশগুল রাজ্য সরকার, সে সময় বারবার নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অধীর।


মুর্শিদাবাদের গড় ভাঙছে। ঘর ভাঙছে সর্বত্র। তৃণমূলের এখন ঘোষিত টার্গেট বিরোধীশূন্য বাংলা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সত্যি কি এভাবে জেলা ঘুরে ঘুরে কংগ্রেসের ঘরভাঙা আটকাতে পারবেন অধীর চৌধুরী? নাকি দলের মধ্যেই থাকা বিভীষণদের হাত ধরে ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে কংগ্রেস?