ওয়েব ডেস্ক: হাতে আর মাত্র দুই। মুর্শিদাবাদ আর কান্দি গেলেই অধীর গড়ে সাত পুরসভাই শাসকদলের দখলে। এই অবস্থায় জেলা তো দূরঅস্ত, নিজের কেন্দ্র সামলানোই দায় বহরমপুরের বেতাজ বাদশার। গড় বাঁচাতে মরিয়া অধীর এখন তাই বদলাচ্ছেন স্ট্র্যাটেজি।গড়ের মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে বহরমপুরের বেতাজ বাদশার। বহরমপুর, বেলডাঙা, রেজিনগরের পর শাসকদলের টার্গেট এবার কান্দি....আঠেরো আসনের এই পুরসভায় এখন অচলাবস্থা। মাসকয়েক আগে কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর জোট এবং শাসকদল দুজনেরই  আসন সংখ্যা নটি করে। সেইসময়ে অনাস্থা আনে তৃণমূল। বাম সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলরকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আপাতত আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মামলা। এরমধ্যেই জোর জল্পনা প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান সহ চারজন কয়েকদিনের মধ্যেই যোগ দিতে পারেন শাসক শিবিরে। ৪ নেতা ইতিমধ্যেই কলকাতার গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছেন। আইনি সমস্যা মিটলে কান্দি দখলে নেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন এমন মুরগি সম্ভাবত আপনি জীবনে দেখেননি


মুর্শিদাবাদের ৭টি পুরসভার মধ্যে ৫টিই এই মুহুর্তে তৃণমূলের দখলে। দখলে এসেছে জেলা পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে জেলা তো দূর অস্ত, নিজের কেন্দ্র বাঁচাতেই এখন মরিয়া বহরমপুরের রবিনহুড।বেলডাঙা, নওদা, বহরমপুর, রেজিনগর, কান্দি, ভরতপুর ও বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত অধীর চৌধুরীর বহরমপুর লোকসভা আসন। এই সাত বিধানসভাতেই রোজ উর্বর হচ্ছে ঘাসফুলের জমি।বেলডাঙা পুরসভা কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বহরমপুর পুরসভা দখলে গিয়েছে শাসকদলের।কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত রেজিনগরের বিধায়ক যোগ দিয়েছেনতৃণমূলে। ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। হাতছাড়া হয়েছে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিও। আর তাই গড় বাঁচাতে মরিয়া অধীর স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছেন। বদল আনছেন সংগঠনেও। জেলা সভাপতির পদ থেকে আবু হেনাকে সরিয়ে নওদার বিধায়ক আবু তাহেরকে বসিয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি , আবু তাহের অনেক বেশি সক্রিয়। সঙ্গে রয়েছে ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখার কৌশলও। সোমবার নতুন সভাপতিকে নিয়ে বহরমপুরের রাস্তায় হাঁটলেনও প্রদেশ সভাপতি।তবে এতকিছুর পরেও যেন অনেকটাই ম্রিয়মান অধীর চৌধুরী।  নিজের গড়েই ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন বহরমপুরের রবিনহুড । অধীরের গড় এখন গড়ের মাঠ।


আরও পড়ুন  বেআইনি মদের কারবারের প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মার খেলেন মহিলারা!