ওয়েব ডেস্ক: সালারে অধীর চৌধুরীর সভামঞ্চের নিচে পাওয়া সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে দিনভর চলল নাটক। বোমা নাকি বোমা নয়, এপ্রশ্নের উত্তর পেতে, সময় লেগে গেল প্রায় দশ ঘণ্টা। সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পর পুলিস জানাল, ওগুলি আসলে নকল বোমা। বারবার পুলিসের বয়ান বদলে, তৈরি হয়  চরম বিভ্রান্তি । সকালে সালারে তখন মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে। সন্ধেয় সভা অধীর চৌধুরীর।...এরই মধ্যে বোমাতঙ্ক। অধীর চৌধুরীর মঞ্চের নিচে চারটি গোলাকার বস্তু উদ্ধার হয় একটি ব্যাগের মধ্যে। তার পাশেই মাটিতে পড়েছিল একইরকম আরও একটি সন্দেহজনক বস্তু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাথমিকভাবে পুলিস জানায়, উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি বোমা নয়। তবে থানা পর্যন্ত পৌছনর মধ্যেই বদলে যায় তাদের ফার্স্ট হ্যান্ড রিপোর্ট। থানার বাইরে একটি বালতিতে জলে ডুবিয়ে রাখা হয় সন্দেহজনক বস্তুগুলি।  পৌছয় বম্ব স্কোয়াড, দমকল, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও। পুলিস  জানায়, উদ্ধার হওয়া গোলাকার জিনিসগুলি আসলে বোমাই।  তা নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফাটানোর চেষ্টা করা হলেও, সেগুলি ফাটেনি।  এরপর তা খুলে দেখতেই ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ে বালি, পাথর এবং কাগজ।  এবার আবার বয়ান বদলে  বিকেলে পুলিস জানায়, এগুলি নকল বোমা। সকালে উদ্ধারের পর থেকে বিকেলে নাটকের শেষ অঙ্ক, এর মাঝে সময় পেরিয়ে যায় প্রায় দশ ঘণ্টা।
প্রশ্ন উঠছে, উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি বোমা না বোমা নয়, এটুকু বুঝতে এত সময় লেগে গেল পুলিসের?


ঘটনার পিছনে শাসক দলের ষড়যন্ত্র দেখছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পুলিসের দাবি, আতঙ্ক ছড়াতেই নকল বোমা রাখা হয়েছিল। তবে দিনভর যে খেল চলল এই নকল বোমা ঘিরেই,  তাতে ঘোর অস্বস্তিতে পুলিস-প্রশাসন।