ব্যুরো: না খেয়ে দিন কাটছে। হস্টেল সুপারের হদিস নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলছেন 'দেখছি'। খেতে না পেয়ে দুর্গাপুরের রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলের ৪০০ পড়ুয়া চাষিদের কাছ থেকে সবজি ভিক্ষে করে এনে নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা করছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দফতর তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই আবাসিক স্কুলটি তৈরি করে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারার এই  স্কুলে লেখাপড়ার জন্য আসে। স্কুলে বিনামূল্যে ভাল খাবার সরবরাহের দায়িত্ব সরকারের।  তবে নিম্নমানের খাবারেই অভ্যস্ত  আবাসিকরা। সে নিয়ে তেমন অভাব অভিযোগের কথা শোনাও যায়নি। কারন পড়ুয়ারা জানে, খাবার যে মিলছে সেটাই যথেষ্ট। এবার বন্ধ হয়ে গেল সেটুকুও।


যে সেলফ হেল্প গ্রুপ খাবারের যোগান দিত,  টাকা না পেয়ে তারাও পাততাড়ি গুটিয়েছে। বিষয়টি জানা আছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।  


অফিসিয়ালি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু পড়ুয়াদের মুখে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা কেউই করেনি। পড়ুয়াদের খবার ভিক্ষে করতে হচ্ছে। আর ছাত্র পড়ানোর জন্য,  যাঁরা বেতন পান তাঁরা ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দায় সেরেছেন।