ওয়েব ডেস্ক: অধীর চৌধুরীর খাসতালুকে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধী জোট। সুতির জনসভায় বিরোধী জোটকে রামধনু বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোট ব্যর্থ করতে হাতজোড় করে চাইলেন মানুষের আশীর্বাদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আনুষ্ঠানিক জোট না হলেও, বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। শানিত আক্রমণে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীও। জোটের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী? কেন? পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের অন্যত্র তৃণমূলের দাপট থাকলেও মালদহ, মুর্শিদাবাদে ছবিটা আলাদা।


২০১১তে মুর্শিদাবাদে মাত্র ১টি আসন পায় তৃণমূল। কংগ্রেস ১৪টি ও বামেরা ৭টি আসনে জেতে। ৪বছরে অনেক বদলেছে পরিস্থিতি। দলবদলের পর মুর্শিদাবাদে এখন কংগ্রেস ১৩, তৃণমূল ৩ ও বামেরা ৬।  উত্তরবঙ্গেও অনেক আসন। কিন্তু, এই স্বপ্নে ধাক্কা দিতে পারে জোট সমীকরণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস ও বাম ভোট জুড়লে তা বেগ দিতে পারে তৃণমূলকেও।


তারপরেও জোট হয়েছে। তাই মানুষকেই জোট ভাঙতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'উত্তরবঙ্গে এবার অনেক আসন পাবে তৃণমূল। তৃণমূল কারও কাছে আত্মসমর্পন করেনি। কংগ্রেস এখন কং-ধনু। বামেরা বাম-ধনু। আর বাম-কং-বিজেপি রামধনু। রামধনু জোট কিছুই করতে পারবে না। একা লড়ার ক্ষমতা নেই ওদের। তাই ওরা জোট করেছে।'


মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন, 'সিপিএমের হাতে এখন কংগ্রেসের পতাকা। সিপিএম হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসবাদ আর কংগ্রেস হয়ে গিয়েছে মার্কসবাদ। একসময় আমিও কংগ্রেস করতাম। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে একবার জোট করেছিলাম। আগে মুখ আর মুখোশের লড়াই হত। এখন সব খোলাখুলি হয়ে গিয়েছে।'