ওয়েব ডেস্ক: ফের ধুন্ধুমার মালদার কালিয়াচক। ছাত্র খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কালিয়াচকের নওদা যদুপুর। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। শূন্যে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিস। খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনাই সামনে আসছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আবারও সংবাদ শিরোনামে কালিয়াচকের নওদা যদুপুর। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। গভীর রাতে ওই এলাকারই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাবির মোমিনের ক্ষতবিক্ষত -গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।


মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সাবিরের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পুলিস এলে উত্তেজনা চরমে পৌছয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিসের ওপরেও চড়াও হয়। পুলিসের জিপে ইট ছোড়া হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে পিছু হঠে পুলিস। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিস।


স্থানীয়দের দাবি, কালিয়াচক থানার এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী বকুল শেখ ও গোলাম কিউবেরিয়া বা জাকির হোসেনের অনুগামীদের মধ্যে। যদিও বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত বকুল। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত বকুলের পরিবারের দখলে। অন্যদিকে জাকিরও ওই এলাকার সদস্য। মাসখানেক আগে নওদা যদুপুরে অনাস্থা ডাকে জাকির গোষ্ঠী। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। ক্ষমতার রাশ থাকে বকুল শেখের হাতেই। অন্যদিকে খুন হওয়া স্কুলছাত্র সাবিরের বাবা ইব্রাহিম জাকিরের অনুগামী। আর এরই ফল ভুগতে হল বছর তেরোর সাবিরকে। দাবি বাসিন্দাদের।


কিন্তু যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বকুল শেখ কিন্তু বছর দেড়েক ধরে পুলিসের খাতায় ফেরার। অভিযোগ, এই ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিসের তরফে। তবে পুলিসের সঙ্গে গণ্ডগোলের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।