ওয়েব ডেস্ক: আকাঙ্ক্ষাকে সেই খুন করেছে। ভরা আদালতে স্বীকার করে নিল উদয়ন দাস। এজলাসে রীতিমতো নাটক। পুলিসের কাছে আকাঙ্ক্ষার নামে ট্রাস্ট করার আর্জি জানিয়েছে সে। সব দেখে আইনজীবীদের একাংশের মত, সাজা কমাতে নাটক করছে তিন খুনে অভিযুক্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মাথার উপর তিন তিনটে খুনের মামলা। তবে উদয়ন দাসকে দেখে সেটা বোঝারই উপায় নেই। নতুন প্যান্ট, পাটভাঙা কোটে রীতিমতো ঝকঝকে চেহারায় এজলাসে হাজির সে। বুধবার প্রথমে বাঁকুড়া আদালতে সিজেএম উদয়নের  সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন । সম্ভবত গোপন জবানবন্দি দেওয়া নিয়ে  কথা হয়। 


'আমিই খুনি'



কাঁটায় কাঁটায় ঠিক দুপুর দুটো। শুরু হয় শুনানি। সেখানেই  রীতিমতো নাটক! উদয়নের আইনজীবী অরূপ ব্যানার্জি বলেন, তাঁর মনে হয় আকাঙ্ক্ষা আত্মহত্যা করেছে। উদয়ন নির্দোষ। তাঁকে  মাঝ পথেই থামিয়ে চোস্ত ইংরিজিতে উদয়ন বলে সেই আকাঙ্ক্ষাকে খুন করেছে। এর পর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানান উদয়নের আইনজীবী। তখন বিচারক বলেন, উদয়নই তাঁর কাছে বলে গেছে, যে সে জামিন চায় না। উদয়নও জানায় এটাই সত্যি। বিচারক তখন  উদয়নের আইনজীবীকে বলেন, তিনি কী নিজের মক্কেলের সঙ্গে কথা বলেনি! উদয়ন বলে আইনজীবী কোনও কথাই বলেননি তার সঙ্গে। আইনজীবী অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেন। এবার মতি জনসেবায়‍! পুলিসকে উদয়ন জানিয়েছে, তার ইচ্ছে জনসেবায় নিজের সম্পত্তি দান করা! ট্রাস্টের নাম হবে আকাঙ্ক্ষা। দেখভালের দায়িত্বে থাকবে বাঁকুড়া পুলিস। বাবার ফিক্সড ডিপোসিট, মায়ের গয়না এবং ভোপালের বাড়িও ট্রাস্টকে দান করবে উদয়ন। 



'পুরোটাই নাটক'



আকাঙ্খার পরিবারের দাবি এসব বলে আসলে নিজের সাজা কমাতে চাইছে উদয়ন। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদালতের থার্ড ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গীতা চ্যাটার্জির কাছে গোপন জবানবন্দি দেবে উদয়ন। উদয়নকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছে রায়পুর পুলিস। উদয়নের ল্যাপটপটিও চেয়েছেন তাঁরা। তা নিয়েও শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। গোপন জবানবন্দির আগে উদয়নকে একদিনের জেল হেফাজতে  রাখা হয়েছে। একদিনের জন্য একাই রাখা হবে তা