ওয়েব ডেস্ক: ঘরছাড়া বাম কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তা দিতে, এবার কৌশলী অবস্থান আলিমুদ্দিনের। শিক্ষিত ঘরছাড়া তরুণ কর্মীদের ভিন রাজ্যে অনুবাদকের কাজে ব্যবহার করতে চাইছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর উদ্যোগে শুরু হয়ে গিয়েছে বাছাই পর্বও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পূর্ত ও সেচ দফতর, নিম্ন মানের জিনিস ব্যবহারের অভিযোগ


রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের দাবি, ঘরছাড়া তাঁদের বহু কর্মী। তাঁদের নিরাপত্তা দিতেই এবার কৌশলী অবস্থান নিল আলিমুদ্দিন। শিক্ষিত ঘরছাড়া তরুণ কর্মীদের ভিন রাজ্যে অনুবাদকের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। কেরালা ও গুজরাত, এই দুই রাজ্যকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ঘরছাড়াদের স্থানান্তরিত করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিনরাজ্যে পাঠানো হবে ঘরছাড়া ওই কর্মীদের। ঘরছাড়াদের এই সাময়িক পুনর্বাসন তত্ত্বের পিছনে, শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগকে ঢাল করেছেন দলের নেতারা। 


আলিমুদ্দিনের বক্তব্য, এরাজ্য থেকে প্রায় প্রতি বছরই নির্মাণ শিল্প বা অন্যান্য কাজের জন্য বহু মানুষ ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। ভিন রাজ্যে গিয়ে ভাষাগত সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের অনেককে। সেই সব কর্মীদের হয়ে দোভাষীর কাজ করবেন ঘরছাড়া শিক্ষিত তরুণরা। অতীতে এমন নজির রয়েছে, যেখানে ভিন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে এ রাজ্য থেকে সেখানে যেতেন দলের শীর্ষ নেতারা। তবে এবার  নয়া এই কৌশলের পিছনে উঠে আসছে অন্য ভাবনাও।


আরও পড়ুন অবৈধ হোর্ডিং সরাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে পুরসভা!


নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই কোচবিহার, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বহু বাম কর্মী দলীয় সদস্য পদ ছেড়েছেন। সক্রিয় ভূমিকা ছেড়ে অনেক কর্মীই এখন নিষ্ক্রিয়। প্রশ্ন উঠছে, দলের সংগঠন বাঁচাতেই কী তবে এই নয়া পুনর্বাসন-কৌশল বাম শিবিরের?