অবৈধ হোর্ডিং সরাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে পুরসভা!

অবৈধ হোর্ডিং সরাতে বাধা হাওড়ায়। তৃণমূল কাউন্সিলরেরই বাধার মুখে পড়তে হল পুরসভার কর্মীদের। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি লোকজন জুটিয়ে ঝামেলা শুরু করেন। হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন কমিশনার এবং মেয়র। কলকাতার পথেই, বেআইনি হোর্ডিং মুক্ত হওয়ার পথে হাঁটতে হবে হাওড়াকে। নবান্ন থেকে এসেছে এমনই নির্দেশ। কিন্তু হবে কীভাবে? যদি বাধা হয়ে দাঁড়ান শাসক দলেরই কাউন্সিলর!

Updated By: Jun 30, 2016, 09:35 PM IST
অবৈধ হোর্ডিং সরাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে পুরসভা!
ছবিটি প্রতীকী

ওয়েব ডেস্ক : অবৈধ হোর্ডিং সরাতে বাধা হাওড়ায়। তৃণমূল কাউন্সিলরেরই বাধার মুখে পড়তে হল পুরসভার কর্মীদের। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি লোকজন জুটিয়ে ঝামেলা শুরু করেন। হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন কমিশনার এবং মেয়র। কলকাতার পথেই, বেআইনি হোর্ডিং মুক্ত হওয়ার পথে হাঁটতে হবে হাওড়াকে। নবান্ন থেকে এসেছে এমনই নির্দেশ। কিন্তু হবে কীভাবে? যদি বাধা হয়ে দাঁড়ান শাসক দলেরই কাউন্সিলর!

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হাওড়া পুরসভায় আজ অবৈধ হোর্ডিং সরাতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরেরই বাধার মুখে পড়েন আধিকারিকরা। বেআইনি হোর্ডিংয়ের জেরে প্রতি মাসে ৫ কোটি টাকা লোকসান হয় হাওড়া পুরসভার। নবান্নের নির্দেশমতো হাওড়া স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে বৃহস্পতিবার বেআইনি হোর্ডিং সরাতে শুরু করে হাওড়া পুরসভা। পুলিসকে সঙ্গে নিয়েই অভিযানে যান পুরসভার অফিসাররা। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং খুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। হাওড়া পুরসভার কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি, লোকজন জুটিয়ে পুরসভার কাজে বাধা দেন। লক্ষ্মী সাহানি অবশ্য দাবি করেছেন, পুরসভা যে সব সংস্থার হোর্ডিং খুলছিল, তাদের অনেকেই ট্যাক্স দেয় পুরসভাকে।   

ঝামেলার জেরে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। ফোন যায় মেয়রের কাছে, যিনি  অফিসিয়াল কাজে দিল্লিতে রয়েছেন। অবস্থা আয়ত্ত্বে আনতে আসরে নামতে হয় কমিশনারকেও। বেশ খানিকক্ষণ কাজ বন্ধ থাকার পর, শেষপর্যন্ত পুলিসি পাহারায় ফের বেআইনি হোর্ডিং খোলা শুরু হয়।

.