ফের দাদাগিরির অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
ফের দাদাগিরির অভিযোগ। ফের আঙুল উঠল শাসকদলের কাউন্সিলরের দিকে। জবরদস্তি-ভয় দেখিয়ে জমি মালিককেই, জমি-ছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বিধাননগরের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ ভান্ডারির অনুগামী। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্ত্রস্ত জমি মালিক।
ওয়েব ডেস্ক: ফের দাদাগিরির অভিযোগ। ফের আঙুল উঠল শাসকদলের কাউন্সিলরের দিকে। জবরদস্তি-ভয় দেখিয়ে জমি মালিককেই, জমি-ছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বিধাননগরের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ ভান্ডারির অনুগামী। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্ত্রস্ত জমি মালিক।
দেবু বিশ্বাস। দু হাজার তেরোয় সুভাষপল্লিতে দু কাঠার সামান্য বেশি জমি কেনেন। পকেট থেকে বেরিয়ে যায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। তবে এই জমিই তার ঘুম কেড়ে নিয়েছে এবার। জমির সমস্ত বৈধ কাগজপত্র তাঁর কাছেই। অভিযোগ, এরপরও তাঁকে উত্খাতের চেষ্টা চলছে। যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা নিজেদের কাউন্সিলরের লোক বলে দাবি করছে।
আরও পড়ুন- ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল আসানসোলে
প্রাণভয়ে নিরুপায় হয়ে এবার পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্বাস পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই খতিয়ে দেখতে,দেবু বিশ্বাসের জমিতে পৌছে যান পুলিসকর্মীরা। সব নথিপত্র খুটিয়ে দেখা হয়।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে রাজি নন কাউন্সিলর। জলাভূমির ওপরেই কংক্রিটের স্তুপ। বিল্ডিং উঠছে চোখের নিমেষে। হয়ত খুপচি ঘর। তবু তো মাথা গোঁজার ঠাঁই। নাগরিক সুবিধে থেকে বিচ্ছিন্ন এই জায়গায় জমির দাম গত কয়েক বছরে বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
বাড়ছে ল্যান্ড মাফিয়াদের দাপট। এক ফালি জমি হলেও ছাড় নেই। ছলে-বলে-কৌশলে চলছে জমি লুঠ। অভিযোগ, এগুলি রোখার বদলে মদত দিতে ব্যস্ত কাউন্সিলররা। তাই শুধু এই একজন নন, এখানে ঘরে ঘরেই হয়ত রয়েছেন অনেক দেবু বিশ্বাস। অভিযোগের পাহাড় জমছে।