ওয়েব ডেস্ক: জোরে মাইক বাজছিল। শব্দ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ করেছিলেন যুবক। শব্দ তো কমলই না, অভিযোগ, উল্টে যুবকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেটে লাথি মারল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনা নদিয়ার ধুবুলিয়ার। গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু। গ্রেফতার অভিযুক্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদিয়ার ধুবুলিয়ার সাধনপাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বসন্তের রাতে কীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। জোরে মাইক বাজছে। শব্দ দানবে অতিষ্ট অনেকেই। শব্দ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানাতে যান এলাকারই এক যুবক। কীর্তন কমিটির কাছে অনুরোধও জানান। অভিযোগ যুবকের ওপর দলবল নিয়ে চড়াও হন কীর্তন কমিটির প্রধান আয়োজক বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান পলাশ বিশ্বাস। বেধড়ক মারধর করা হয় যুবক ও তাঁর ভাইকে। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। মহিলার পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ।  


গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ধুবুলিয়া হাসপাতাল। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।


অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। প্রতিবাদে পথ অবরোধও করে বিজেপি। ধৃত পলাশ বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। তাঁকে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। (আরও পড়ুন- সালিশি সভার পরই আত্মঘাতী যুবক, কাঠগঠায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব)