ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার করা হল বর্ধমানের কাঁকসার বেসরকারি পলিটেকনিক ছাত্র আশিক আহমেদকে। আইসিস সদস্য আশিককে জেরা করে মিলেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরির পরিকল্পনা ছিল আইসিসের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইসিস জঙ্গি সন্দেহে বর্ধমানের কাঁকসার বেসরকারি পলিটেকনিক ছাত্র আশিক আহমেদকে আটক করে এনআইএ। আইসিসের ভারতীয় শাখা জুনদ-ই-খলিফায়-হিন্দের আরেক ধৃত সদস্য নাফিস খানের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে NIA। দীর্ঘ জেরার পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় আশিককে। আশিককে জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।


আইসিসের ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান চ্যাপ্টার জুনদ-ই-খলিফায়-হিন্দের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট করে আশিক। কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০জন আইসিস সদস্য এই চ্যাটরুমে কথা বলত। ইউসুফ নামে চ্যাট করত সফি আরমার। চ্যাট করার জন্য ১০টি ই-মেল আইডি ব্যবহার করে আশিক। নাফিস খান একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দেয় আশিককে। সেই ফোনেই চ্যাট করত সে। ধৃত জুনদ-ই-খলিফায়-হিন্দ সদস্য নাফিস খানের সঙ্গে ধনেখালির বাড়িতে বৈঠক হয় আশিকের। এ রাজ্য থেকে আইসিসে নিয়োগ নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।


আশিককে জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। খাগড়াগড়ের ধাঁচেই এ রাজ্যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরির পরিকল্পনা করে সফি আরমার। এ জন্য নাফিসের কাছে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এসেছিল। বাংলার কোনও এক গ্রামে এই প্রশিক্ষণ শিবির খোলার পরিকল্পনা ছিল। এই শিবির তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আশিক আহমেদকে। ইতিমধ্যেই জুনদ-ই-খলিফায়-হিন্দের ১৬ জন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। হদিশ মিলেছে আরও ২৫জন সক্রিয় সদস্যের। তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে NIA।