ওয়েব ডেস্ক: ফের আক্রান্ত পুলিস। এবার বর্ধমানের আউশগ্রামে। মদ্যপদের লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটল খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপারের। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, অত্যাচার চালিয়েছে পুলিসই। অভিযোগ, পুলিস গুলিও চালায়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন যিনি, সেই বিপ্লব দেবের দায়িত্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নিরাপত্তা দেখা। এএসপিকে বাঁচাতে গিয়েই তাঁর এই হাল। আর নিরপত্তারক্ষীকে বাঁচাতে গিয়ে মাথা ফাটল খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার, দ্যুতিমান ভট্টাচার্যেরও।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ। এখন শ্মশানের স্তব্ধতা গোটা গ্রামে। কে বলবে, বুধবার রাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এই গ্রামই! কাজ সেরে গ্রামের পাশের রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার। পিছনে আরও দুটি পুলিসের জিপ। পুজো উপলক্ষ্যে রাস্তা কার্যত আটকে চলছিল অনুষ্ঠান। বড় বড় ড্রাম ফেলে যান নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল। এনিয়েই পুলিস-গ্রামবাসী বচসা শুরু হয়।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিস শুরুতেই বেধড়ক মারধর শুরু করে। জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় তাঁদের। এরপরই লাঠি, টর্চ নিয়ে পুলিসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের একাংশ। নিজের নিরাপত্তা রক্ষীকে মার খেতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান অতিরিক্ত পুলিস সুপার। মার খেতে হয় তাঁকেও। মাথায়, পিঠে পড়ে একের পর এক লাঠির ঘা। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন হামলাকারীদের অনেকেই। পাল্টা গ্রামবাসীরাও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পুলিসের দিকে। পুলিস গুলিও চালায়। অভিযোগ তাঁদের।


এদিন গ্রামে পৌছনর পর, আমাদের হাতে আসে এই গুলির খোল। যদিও পুলিস গুলি চালানোর কথা মানতে চায়নি।  পুলিসের ওপর হামলার পর, রাতভর গ্রামে চলে ধরপাকড়। বাড়ি বাড়ি তল্লাসি। ততক্ষণে অবশ্য প্রায় গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য।  রাজ্যে পুলিস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা, এই প্রথম বার নয়। কখনও আলিপুর, কখনও মহিষাদল। দুবরাজপুরই হোক বা চ্যাংরাবান্ধা, কিংবা লেকটাউন। নজির একাধিক। এবার জুড়ল আউশগ্রামের নামও।