জেলাজুড়ে আক্রান্ত একাধিক প্রতিবাদী
প্রকাশ্যে মদ খাওয়া-জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ। আক্রান্ত একাধিক প্রতিবাদী। কোথাও স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মাথা ফাটল স্বামীর। কোথাও হাসপাতালে শুয়ে প্রতিবাদের মাশুল গুনলেন BSF জওয়ান।
ওয়েব ডেস্ক: প্রকাশ্যে মদ খাওয়া-জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ। আক্রান্ত একাধিক প্রতিবাদী। কোথাও স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মাথা ফাটল স্বামীর। কোথাও হাসপাতালে শুয়ে প্রতিবাদের মাশুল গুনলেন BSF জওয়ান।
প্রকাশ্যে বসবে মদ জুয়ার আসর। মহিলাদের উদ্দশ্যে উড়ে আসবে কটুক্তি। সব সহ্য করতে হবে মুখ বুজে। প্রতিবাদ করলেই জুটবে মার। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হবে মাথা। এমনই একের পর এক দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের সাক্ষী রইল এরাজ্য।
নদিয়ার গয়েশপুর। লক্ষ্মী মোড়ের কাছে এই পার্কে রোজই বসে মদের আসর। সমানতালে চলে কটুক্তি। শনিবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে BSF জওয়ান বাবলু দাসের।প্রতিবাদ করেন। তারপরই পড়েন মদ্যপদের রোষে। শুরু হয় বেধড়ক মারধর।বাবলুকে বাঁচাতে গিয়ে মার খান তাঁর দাদাও।
গুরুতর আহত বাবলুর JNM হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে।
নদিয়া থেকে সল্টলেক। বাড়ির পাশে প্রতিদিনই বসে মদের ঠেক। রাত বাড়লে শুরু হয় জুয়া। বার বার প্রতিবাদ করেন মহিলারা। কিন্তু, স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুগামীরা তাতে এতটুকু কর্ণপাত করেনি। অভিযোগ, ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থেকে প্রশাসনও। শনিবার প্রতিবাদ করেন এক মহিলা। মদ্যপদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে তাঁর ওপর। বেধড়ক মারধর শুরু হয়।স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে বেধড়ক মার খান স্বামী। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর।
দমদমের সুকান্তনগর। এলাকায় মদ ও জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করেছিলেন রাকেশ মুখার্জি। সহ্য হয়নি মদ্যপদের। তাঁর ওপরে চড়াও হয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দিকে। মদ জুয়ার প্রতিবাদের মাশুল এভাবেই গুনলেন প্রতিবাদীরা।