ওয়েব ডেস্ক: আবারও নিরাপত্তাহীনতার ছবি। আবারও নারী-নিগ্রহ। মালদার কালিয়াচকে ইভটিজারদের হাতে আক্রান্ত হল ক্লাস টেনের এক ছাত্রী। পেটানো হল রাস্তায় ফেলে। চলল এলোপাথারি লাথি-ঘুষি। পথেই অপেক্ষায় ছিল ইভটিজারদের দল। টিউশন শেষে বাড়ি ফেরার সময়, ছাত্রীর পথ আটকে কুপ্রস্তাব দেয় তারা। প্রতিবাদ করে ওই ছাত্রী। যুবকদের দিকে জুতোও ছুড়ে মারে সে। এরপরই ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আপাতত মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিগৃহীতা কিশোরী। ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে স্থানীয় যুবক আসগার আলি এবং তার সঙ্গীদের। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলু সর্দারের ছেলে আসগর। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্তকে আটক করলেও, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বছর দুয়েক ধরেই ওই যুবকরা ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিসকে বহুবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ নিগৃহীতার পরিবারের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাবা গাড়ি চালান। মেয়ের চোখে স্বপ্ন বিমান চালাবে। এখন ক্লাস টেন। স্বপ্ন পূরণে এখন শুধুই পড়াশোনা। স্কুল, টিউশনি। সর্বদা ব্যস্ত। কিন্তু তাতে কী? এলাকার প্রবল প্রতাপশালী নেতার ছেলের চোখে পড়ে যায় কিশোরী কন্যা। অতএব প্রত্যহ প্রেম নিবেদন। নিবেদন নয়,  ছিনিয়ে নেওয়ার আস্ফালন। আস্ফালনে কান দেয়নি মেয়ে।  সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।


২৫ তারিখ। টিউশনি থেকে ফিরছিল। জনা পাঁচেক সঙ্গী নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছিল নেতা পুত্র আসগর। টোন-টিটকিরি থেকে কুপ্রস্তাব বাদ রাখেনি কিছুই। ধৈর্য রাখতে পারেনি মেয়ে। জুতো ছুঁড়ে মেরেছিল আসগরকে। এরপরেই আসগর ও তার শাগরেদরা ঝাঁপিয়ে পরে মেয়েটির ওপর। চলে এলোপাথারি লাথি-ঘুষি। অচৈতন্য হয়ে পড়ে মেয়েটি। এলাকাবাসী ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আপাতত মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিগৃহীতা কিশোরী।


ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসগার আলি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলু সর্দারের ছেলে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্তকে আটক করলেও, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা পুলিস সুপার জানিয়েছেন ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।