ওয়েব ডেস্ক: একইদিনে অধীরগড়ে জোড়া ধাক্কা। বেহাত হল বহরমপুর পুরসভা। ষোলোজন কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পুর চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য। ঘর ভাঙল বামেদেরও। হাতছাড়া হল বড়োঞাঁ ও  বেলডাঙা ১নং পঞ্চায়েত সমিতি। দুটি পঞ্চায়েতেরই দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিরোধের দেওয়াল আগেই ভেঙে পড়েছে। এবার খসে পড়ছে এক একটি ইট। এবার ধাক্কা বহরমপুর পুরসভায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বহরমপুর পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা আঠাশ। এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় এখন রয়েছেন সাতাশ জন।  এতদিন তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন মাত্র এক জন। কংগ্রেসের ছাব্বিশ জন। কাউন্সিলরদের দলবদলের পর তৃণমূল বেড়ে হল আঠারো। কংগ্রেস কমে দাঁড়াচ্ছে নয়।


ছিয়াশি সাল থেকেই এই পুরসভা কংগ্রেসের দখলে। অধীর নিজে উপদেষ্টা। কিন্তু, পুর চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্যই তাঁকে হতাশ করলেন। প্রকাশ্যেই স্বীকার করলেন উন্নয়নে শরিক হতেই জার্সিবদল।


কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নীলরতন আঢ্যকে দলে যোগ দেওয়াচ্ছেন, বহরমপুরে ব্যাটন তখন শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। রবিবার বড়োঞাঁ ও বেলডাঙা ১নং পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, এখানে সরাসরি হাত শিবির নয়। ঘর ভাঙল বামেদের।


৩৭ আসন বিশিষ্ট বড়ঞাঁ পঞ্চায়েত সমিতির ১৭টি আসন ছিল CPM-র দখলে, RSP সদস্য সংখ্যা ৬, কংগ্রেস ১৩ ও তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১। রবিবার CPM-এর ৯জন, RSP-র ৬জন ও কংগ্রেসের ৭জন, সবমিলিয়ে মোট ২২জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য  তৃণমূলে যোগ দিলেন। যার জেরে তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩-এ।


একই হাল বেলডাঙা ১নং পঞ্চায়েত সমিতিরও।


৩৯ আসন বিশিষ্ট বেল়ডাঙা ১নং পঞ্চায়েত সমিতিতে CPM-এর সদস্যসংখ্যা  ছিল ১৫, কংগ্রেস ১৫, RSP ৭ ও তৃণমূল ২। আজ মোট ২২জন তৃণমূলে যোগ দিলেন।  বেলডাঙা ১নং পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল বামেদের।


দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অধীরের গড় তছনছ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জেলার সাত পুরসভার মধ্যে পাঁচটিই এই মুহুর্তে তৃণমূলের দখলে। ঘাসফুল ফুটেছে ভরতপুর ১নং , মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতেও। একমাসের মধ্যে জেলায় দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে বাম ও কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন অভিষেক-শুভেন্দু।


তৃণমূল সুনামি ঠেকাতে মরিয়া অধীর চৌধুরী। আবু হেনাকে সরিয়ে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবু তাহেরকে। কিন্তু, তাতে কী ঠেকানো যাবে ভাঙন? নবাবের জেলায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ভবিষ্যত্‍ কী? উত্তর মাসখানেকের মধ্যেই।