ওয়েব ডেক্স : মাত্র দু বছর বয়সে ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। মেয়েকে সুস্থ করতে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন বাবা চিরঞ্জিত। শেষ পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩টি কেমোয় হার মানল ক্যান্সার।  স্বাভাবিক জীবনে পা রাখল ছোট্ট সায়নী। আর এবার সেই মেয়েই মাধ্যমিকে ৬৭% নম্বর পেয়ে, সবাইকে চমকে দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই বিশ্বাসে ভর করেই মেয়েকে সারিয়ে তোলার লড়াই শুরু করেন বাটানাগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সফলও হলেন। তিন বছরের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠে মেয়ে সায়নী। তারজন্য অবশ্য খরচও কম হয়নি বেসরকারি সংস্থার সাধারণ এই কর্মীর। মেয়ের লড়াইয়ে সর্বক্ষণ পাশে থেকে আস্থা যুগিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর সায়নী? মারণ ব্যাধিকে হারিয়ে দিয়ে এবার মাধ্যমিকে  ভালো ফল করেছে বাটানগর গার্লস হাইস্কুলের এই ছাত্রী। স্বপ্ন, শিল্পী হওয়ার। জীবনকে আরও রঙীন করে তোলা।


শৈশব থেকে কৈশোর। স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও আজও মাঝে মাঝে অসুস্থতা নিয়ে কটূক্তি কান ভেসে আসে। চোখে জল এলেও, মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে সায়নী। কারণ তাকে যে স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। ফিরে পাওয়া জীবনকে স্বার্থক করে বাবার মুখে হাসি ফোটাতে হবে।


তাই এবারের মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে, সব সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়েছে সে। তিনটি বিষয়ে লেটার সহ পেয়েছে ৪৭৩ নম্বর। আর মেয়ের সাফল্যে ভীষণ খুশি তার বাবা চিরঞ্জিত। সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন গ্রাম ও সরকারি হাসপাতালে। সেখানে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মাকে শোনান তাঁর নিজের সংগ্রামের কথা।