ওয়েব ডেস্ক: ভোট নিয়ে এবার কমিশনের মনোভাব যথেষ্ট কড়া। চালু হচ্ছে নিত্যনতুন নজরদারি। কিন্তু রাজ্যে যাঁরা কমিশনের দায়িত্বে তাঁদের মনোভাব সেই একইরকম গাছাড়া। প্রতিবারই ভোটের কাজের জন্য ভুল করে ডেকে পাঠানো হয় হুগলির এক দৃষ্টিহীন শিক্ষককে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রতিবারই ভোটের সময় হয়। এবারও হয়েছে। চুঁচুড়ার কাঁসার ইয়াসিন মণ্ডল হাইস্কুলের শিক্ষক অনির্বাণ মুখার্জিকে ভোটের কাজ করার জন্য কমিশনের তরফ থেকে তলব করা হয়েছে। সরকারি চাকুরে কমিশনের হয়ে ভোটের কাজ করবেন, এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু অনির্বাণ মুখার্জির ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিকটাই বড়রকম অস্বাভাবিক। দুটো চোখেই দেখতে পান না অনির্বাণবাবু। চিকিত্সার পরিভাষায় একশ শতাংশ দৃষ্টিহীন অরবিন্দ মুখার্জিকে ভোটের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন।


আর পাঁচজনের মতোই মা বাবাই অরবিন্দকে হাতধরে পথচলা শিখিয়েছিলেন, কিন্তু সেই হাত আজও ছাড়া হয়নি। ভয় হয়। দুচোখেই দেখে না ছেলে টা, শুধু মনের জোরে এগিয়ে যাওয়া।স্কুলে যান--সঙ্গে বাবা। সারাদিন ঘরে চিন্তায় মা। সেই ছেলেকেই ভোটের কাজে ডাকা, আবার অসম্মান করে ফিরিয়ে দেওয়া। বড় কষ্ট হয় মায়ের। প্রতিবার কেন একই ভুল!  আর প্রতিবার এই অসম্মান। কোথাও জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। শোদরানো যায়নি প্রতিবারের ভুল। যেমন হাজার চিকিত্‍সা করেও দৃষ্টি ফেরেনি, এই ভুলও কি তেমন--ঠিক হবার নয়।