ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে রক্তের সঙ্কট। চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। কয়েকটি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত রয়েছে খুব সামান্যই। এই অবস্থায় সঙ্কট মেটাতে রক্তদান শিবিরের অপেক্ষাতেই রয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতি বছর সাড়ে ১৯ হাজার ইউনিট রক্তের চাহিদা থাকে। রক্তদান শিবির থেকে আসে সাড়ে ৯ হাজার ইউনিট বাকি ১০ হাজার ইউনিট পরিবর্ত ডোনার হিসেবে নেওয়া হয়। মালদা জেলায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু রয়েছে প্রায় ৭০০। তাদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন। মঙ্গলবার পর্যন্ত  রক্ত রয়েছে নেগেটিভ গ্রুপের মাত্র ৩ ইউনিট।


সঙ্কটে জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্ক। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিদের রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। এখানে বছরে গড়ে ১৫ হাজার ইউনিট রক্তের চাহিদা থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ইউনিট রক্ত লাগে। সেখানে মঙ্গলবার রক্ত রয়েছে মাত্র ২৩ ইউনিট।


চরম সঙ্কটে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কও। এমন অবস্থার কথা মানছে কর্তৃপক্ষও। দক্ষিণবঙ্গের ছ-সাতটি জেলা ছাড়াও এই হাসপাতালের ওপরেই নির্ভরশীল ঝাড়খন্ড ও বিহারের একাংশের বাসিন্দারা।  


রক্তের তীব্র সঙ্কট সম্মিলনি মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাঙ্কে। গত চার মাস ধরে চলছে এমন অবস্থা । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীর আত্মীয়দেরই ডোনার আনতে হচ্ছে। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার  হচ্ছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা।


রক্ত সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে পুরুলিয়া ব্লাড ব্যাঙ্কে। জেলায় রক্তদান আন্দোলন এখনও তেমন গতি পায়নি। তাই অন্য জেলার রক্তদান শিবিরের ওপরেই নির্ভর করতে হয় এই ব্লাড ব্যাঙ্ককে। বছরে রক্তের চাহিদা ১৮ হাজার ইউনিট। দিনে চাহিদা ৪৫ থেকে ৫০ ইউনিট। এই মুহূর্তে রক্ত রয়েছে ১২৬ ইউনিট। জুন মাসের আগে কোনও রক্তদান শিবির হচ্ছে না। তেমন প্রয়োজনে চাহিদার যোগান কীভাবে হবে, তা নিয়েই কপালে হাত কর্তৃপক্ষের।