ওয়েব ডেস্ক: অবস্থা গুরুতর। খুবই আশঙ্কাজনক। এমন রোগী নিয়েই অ্যাম্বুলেন্সের দৌড়োদৌড়ি। পরিবার-পরিজনদের তখন চিন্তা,  প্রাণ বাঁচবে কীভাবে? এমন সময়েও বকশিসের জন্য দর-কষাকষি, তাও অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগে! এ কোন চিকিত্‍সা পরিষেবা? অভিযোগ উঠছে, এমনটাই দিনের পর দিন চলছে বারাসাত হাসপাতালে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

  


এক হাতে টাকা, অন্য হাতে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা। এই দেওয়া-নেওয়ার ব্যবসাই প্রাণ কেড়ে নিল আট মাসের সোহিনীর। হাতের কাছেই ছিল অ্যাম্বুলেন্স। নিখরচায় তা পাওয়ার জন্য, কাগজপত্রও তৈরি ছিল। কিন্তু পায়নি সোহিনী। অ্যাম্বুলেন্স চালক তখন ব্যস্ত, নিজের আখের গুছিয়ে নিতে। অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে যদি রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়, তাহলে এক-দেড়শো টাকা দিতে হয়। কারণ, অক্সিজেন সিলিন্ডার বাইরে থেকে আনতে হয়। এর বাইরে কোনও টাকা দেওয়ার কথাই নয়।


এরপরও তাহলে কেন টাকা চাওয়া? অভিযোগ, বখশিসের নামে এই জুলুম বহুদিন ধরেই চলছে এই হাসপাতালে। চাপে পড়ে অনেকে দিয়েও দেন। কীই বা করবেন?  যে কোনও মূল্যে প্রাণ বাঁচানো যেখানে জরুরি,  সেখানে প্রতিবাদের কথা কে ভাববে!


সোহিনীর মৃত্যু, সামনে এনে দিয়েছে এক জঘন্য বাস্তবকে। তার মৃত্যুতে কি বন্ধ হবে বখশিসের ব্যবসা? উত্তর দেবে সময়ই।