ব্যুরো: প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে যোগ নেই। তবু গাড়িতে সামনে-পিছনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরির বোর্ড লাগানো। বর্ধমানের জামালপুরের এই গাড়ি-কাণ্ডে ধোঁয়াশা এখনও কাটল না। গাড়িসমেত গ্রেফতার কলকাতার ছয় যুবক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‍গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স। বড় বড় করে বোর্ডে লেখা। নিচে OFB। অর্থাত্‍ জড়িয়ে অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরিও। এই গাড়িকে ঘিরেই যত কাণ্ড বর্ধমানে। রবিবার গভীর রাতে জামালপুরের আঝাপুর রোডে, নাকা চেকিংয়ে থামানোর চেষ্টা হয় গাড়িটিকে। কিন্তু পুলিসের নির্দেশ উপেক্ষা করেই তা আরও স্পিড বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পিছু ধাওয়া করে সেটি ধরে ফেলে পুলিস। গ্রেফতার হয় ছয় আরোহী।


আরোহীদের কেউই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ইস্যু করা কোনও পরিচয়পত্র এবং গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তদন্তে বেরিয়ে পড়ে কলকাতা যোগ। জানা যায়, ধৃত ছ-জনই তপসিয়া রোড এলাকার বাসিন্দা।


গাড়ি চালাচ্ছিল শাকির আহমেদ। পেশায় সে ওই গাড়িরই চালক।তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিল আরও পাঁচ বন্ধু। ধৃতদের দাবি, এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে পার্টি করতেই তাঁরা গাড়ি নিয়ে কোলাঘাট যাচ্ছিল। গাড়ির ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে, সেটি একসময় সত্যিই ভাড়া নিয়েছিল অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরি। হরাইজন নামে একটি সংস্থা থেকে গাড়ি ভাড়া করা হয়। তবে গতবছর নভেম্বরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।


এরপরও রয়ে যাচ্ছে কিছু প্রশ্ন।


চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন গাড়িটিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বোর্ড লাগানো ছিল?
নিয়মমাফিক বোর্ডটি অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরিতে ফেরত দেওয়ার কথা। এরপরও তা রয়ে গেল কীভাবে?
ধৃতদের দাবি তাঁরা কোলাঘাট যাচ্ছিলেন। অর্থাত্‍ বম্বে রোডে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাহলে দিল্লি রোডে, জামালপুরে কী করে গেলেন তাঁরা?
ধৃতদের পরিবারের বক্তব্য, গাড়ি নিয়ে শনিবার রাতে বেরোন তাঁরা।পুলিসের দাবি, গ্রেফতার হন রবিবার রাতে। মাঝের গোটা একটি দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন?  



ধৃতদের বাড়ির লোকজনের দাবি, কোনওরকম অপরাধের সঙ্গে যোগ নেই তাঁদের। ধৃতদের কারোরই তেমন কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড পায়নি পুলিস। তবে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।