ওয়েব ডেস্ক: তেল নয়। জলে ছুটবে গাড়ি। নবম শ্রেণির দুই ক্ষুদে পড়ুয়ার তৈরি মডেল দেখে অবাক স্কুলের শিক্ষকরা। আকাশ আর সৌরভ। জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের প্রদর্শনীতেও প্রথম হয়েছে রায়গঞ্জের হাতিয়া গ্রামের দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানীর তৈরি তাক লাগানো মডেল। বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অভাবী পরিবারের দুই ক্ষুদে পড়ুয়া।অজ গাঁয়ের বিস্ময় এই দুই ক্ষুদে পড়ুয়া। সৌরভ আর আকাশ। গলায় গলায় ভাব।রায়গঞ্জের গৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের  প্রান্তিক গ্রাম হাতিয়া। এখান থেকেই  আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে ওরা। নবম শ্রেণির দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আকাশ আর সৌরভ। দুচোখে  অনেক স্বপ্ন। সাধারণ ফেলে দেওয়া জিনিসকে কাজে লাগিয়েই ওরা তৈরি করে ফেলেছে অদ্ভুত এক ক্রেন। ওদের আবিষ্কারে অবাক স্কুলের শিক্ষকরাও। এমন এক ক্রেন  বানিয়েছে দুই ক্ষুদে পড়ুয়া, যা তেলে নয় জলের শক্তিতেই কাজ করছে।  উপকরণও অতি সাধারণ।পাট কাঠি,বেড়া বাঁধার তার,সাইকেলের পুরনো স্পোক,ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ,স্যালাইনের পাইপ। এসব দিয়েই তৈরি হয়েছে  নতুন এক  মডেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন জলপাইগুড়ি শিশু পাচারে রাজনৈতিক যোগ, নাম জড়াল রাজ্য বিজেপি নেত্রীর


পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা আন্তঃ স্কুল বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে দুই পড়ুয়ার তৈরি মডেল প্রথম স্থান পেয়েছে। ওদের নিয়ে আশাবাদী শিক্ষকরাও।সৌরভের বাবা রতন সরকার ভিনরাজ্যের বেসরকারি সংস্থার কর্মী। আকাশের বাবা প্রফুল্ল দাস হাতিয়া গ্রামেই ছোট একটা তেলেভাজার দোকান চালান।দুই পড়ুয়ারই অভাবের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফোরায়। দিনরাত ছেলের এই পাগলামিতে অতিষ্ঠ দুই  মা। বকাঝকাও কম খেতে হয়নি ডানপিটে দুই পড়ুয়াকে। তবে এখন দুই মায়ের মুখেই হাসি। স্কুলের নাম রেখেছে ছেলেরা। মায়েদের স্বপ্ন একটাই, বড় হোক, দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক সৌরভ,আকাশ।একটু সাহায্য,সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে হয়তো রায়গঞ্জের অজ গ্রাম হাতিয়া থেকেই একদিন বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানী।  কে বলতে পারে কোন প্রতিভা লুকিয়ে আছে কার মধ্যে? উদ্ভাবনের নিত্যনতুন নেশায় স্বপ্নের উড়ানে ভর করেই আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চায় সৌরভ আর আকাশ।


আরও পড়ুন  নভেম্বরের শেষে প্রকাশ্যে এসেছে শিশু পাচারের রমরমা নেটওয়ার্ক