শিক্ষকের চূড়ান্ত গাফিলতিতে হারিয়ে গেল মাধ্যমিকের ১৪৭টি অঙ্ক খাতা
ভবিষ্যত্ নিয়ে ছিনিমিনি। চূড়ান্ত গাফিলতির নজির। মাধ্যমিকের খাতা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে, সেগুলি হারিয়ে ফেললেন এক শিক্ষক। এক-আধটি নয়, ১৪৭টি খাতা উধাও। নদিয়ার ধুবুলিয়ার এই ঘটনায়, শোরগোল রাজ্যজুড়ে। খাতা উদ্ধার করা সম্ভব হবে, আপাতত এই আশার ওপরই ভরসা রাখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অভিযুক্ত শিক্ষক বেপাত্তা।
ওয়েব ডেস্ক : ভবিষ্যত্ নিয়ে ছিনিমিনি। চূড়ান্ত গাফিলতির নজির। মাধ্যমিকের খাতা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে, সেগুলি হারিয়ে ফেললেন এক শিক্ষক। এক-আধটি নয়, ১৪৭টি খাতা উধাও। নদিয়ার ধুবুলিয়ার এই ঘটনায়, শোরগোল রাজ্যজুড়ে। খাতা উদ্ধার করা সম্ভব হবে, আপাতত এই আশার ওপরই ভরসা রাখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অভিযুক্ত শিক্ষক বেপাত্তা।
মাধ্যমিকের ১৪৭টি অঙ্ক খাতা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষক অপু সরকার। তিনি নদিয়ার ধুবুলিয়ার কামারহাটি চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাইকে করে যাওয়ার সময় খাতাগুলি পথেই কোথাও পড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার স্কুলে গেলে দেখা যায়, তিনি আসেননি। বাড়িতেও তাঁর টিকি মেলেনি।
থানায় ইতিমধ্যে জিডি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আশায়, খাতা পেয়ে কেউ না কেউ না হয়ত ফিরিয়ে দেবে। মাধ্যমিকের খাতা হারানো নিয়ে এরপর জেলাশাসক রিপোর্ট জমা দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। শিক্ষকের গাফিলতি প্রমাণ হলে, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কাছে কড়া শাস্তির সুপারিশ করবে পর্ষদ। যদি পরীক্ষার খাতা একান্তই না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ে ওই পরীক্ষার্থীরা কত নম্বর পাচ্ছে তা দেখে গড় নম্বর দিয়ে দেওয়া হতে পারে।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আশাবাদী, খাতা উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু এতজন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত্ নিয়ে এমন ছিনিমিনির জবাব কে দেবে? এধরনের গাফিলতি কি বরদাস্ত করা যায়!