ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি নেত্রীর পর এবার জেলার চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার। জলপাইগুড়ি শিশুপাচার চক্রে CID নজরে সাস্মিতা ঘোষ। নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাস্মিতাকে শোকজ করেছেন জেলাশাসক। সাস্মিতাকে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে CID।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্ত যত গড়াচ্ছে, টের পাওয়া যাচ্ছে কতটা গভীরে  জলপাইগুড়ি শিশু পাচারের জাল। ইনি সাস্মিতা ঘোষ। জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক। অনাথ শিশুদের দত্তক ও দেখভালের দায়িত্ব এঁরই কাঁধে। অথচ, সর্ষের মধ্যে ভূত। CID-র দাবি, শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে চন্দনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিশু পাচারচক্রে জড়িত  সাস্মিতা। চন্দনার মোবাইল কল রেকর্ডস থেকেও তেমনই তথ্য মিলেছে দাবি CID-র।  তদন্তকারীদের দাবি, বেনিয়মের অভিযোগে ২০১৫ সালে CWC-র জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে তৈরি করা হয় অ্যাড হক কমিটি। সেই কমিটির মাধ্যমে সাস্মিতা বিভিন্ন সময়ে শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতেন।


বেশিরভাগ সময়েই সাস্মিতা নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করতেন না। প্রাথমিক তদন্তে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সাস্মিতাকে শোকজ করেছেন জেলাশাসক। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই মানতে নারাজ সাস্মিতা। চন্দনাকে চিনলেও জুহিকে চিনতে পারছেন না DCPO। সাস্মিতার পাশাপাশি CID নজরে তাঁর স্বামীও। তাঁর  বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবহারকে অন্য চোখে দেখছেন গোয়েন্দারা। যদিও, নিজস্ব ভঙ্গিতেই এই গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন সাস্মিতা।


আরও পড়ুন



সাস্মিতার পাশাপাশি, জেলার আরেক CWC অফিসারও CID নজরে। সাস্মিতার মতোই চন্দনা চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাঁকে জিরো ইন করার চেষ্টা করছে CID।