ওয়েব ডেস্ক : মসলন্দপুরের রানিডাঙা। সুজিত দত্ত মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। দুঃস্থ বাচ্চাদের আশ্রয়। আড়ালে চলত শিশু পাচার। ট্রাস্টের ঘরেই রাখা হত দুঃস্থ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের। প্রসবের পর সেখানেই থাকতেন মা ও শিশু। পরে চলে যেতেন মা। পাচার হয়ে যেত শিশু। তৈরি হত দত্তক নেওয়ার জাল নথি। আপাতত  সিআইডির নজরে এই ট্রাস্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে শিশু পাচারের চক্র। CID-র জালে মূল পাণ্ডা নাজমা বিবি। আর নাজমার সঙ্গেই গ্রেফতার আরেক পান্ডা  উত্‍পলা বেপারি। এক ধাক্কায় ফোকাসে   মছলন্দপুরের সুজিত মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। CID-দাবি, এই ট্রাস্টেই তৈরি হত শিশু কেনাবেচার কাগজপত্র। স্ক্যানারে মছলন্দপুরের সেই ট্রাস্ট। মছলন্দপুরের রানিডাঙার খ্রিষ্টান পাড়া। এখানেই কয়েক কাঠা জমির ওপর দাঁড়িয়ে  সুজিত দত্ত মেরোরিয়াল ট্রাস্ট। উত্‍পলার বাবার জমিতে তৈরি এই ট্রাস্টে  মূলত বাচ্ছাদের পড়াশোনা ও দুঃস্থদের চিকিত্সা হত। কিন্তু, আসল গল্পটা লুকিয়ে ট্রাস্টের আড়ালে।


ট্রাস্টের আড়ালে পাচার


দূরদূরান্ত থেকে দুঃস্থ মায়েদের এখানে আনা হত।ট্রাস্টের ঘরেই রাখা হত মা ও সদ্যজাত শিশুদের। পরে শিশুকে রেখেই চলে যেতেন মা। ট্রাস্টের আড়ালে চলা কাজকর্মের সাক্ষী মারুখা বিবি। শুধু তাই নয়। দুঃস্থ অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের এখানে প্রসবেরও ব্যবস্থা করা হত। তারপর সদ্যজাতকে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হত। কয়েকবছর ধরে রমরমা কারবার চললেও, বিন্দুমাত্র টের পাননি এলাকার মানুষ। গোটা কারবার চালাতে উত্‍পলাকে সাহায্য করত ট্রাস্টের অ্যাম্বুলেন্সের চালক সত্যজিত্‍ সিনহা। সদ্যজাত ও মায়েদের এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই নিয়ে আসা হত। আপাতত সেও CID-র জালে। CID সূত্রে খবর...মছলন্দপুরের ট্রাস্ট থেকেই সদ্যজাতদের দত্তক নেওয়ার জাল কাগজপত্র তৈরি হত।সেজন্য ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কলকাতার ও রাজ্যের অন্যান্য নার্সিংহোমেরও।