ওয়েব ডেস্ক : ডাক্তারবাবুর ডাবল ইনকাম। সরকারি হাসপাতালের শিশু চিকিত্‍সক। কাজের সময় রোগী দেখেন ব্যক্তিগত চেম্বারে। আউটডোরে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় রোগীরা। ডাক্তারবাবু থাকেন তখন হাসপাতালের পাশে এক ওষুধ দোকানে। সিম্পল লজিক। ভিজিট দিয়ে বাচ্চাকে দেখাও। ফেল কড়ি, মাখ তেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের একমাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ অসিত প্রামাণিক। আউটডোরের সময় সকাল নটা থেকে দুপুর দেড়টা। অভিযোগ, আউটডোরের সময়ে তাঁকে হাসপাতালে পাওয়া যায় না। হাসপাতালেরই উল্টোদিকে একটি ওষুধ দোকানে তিনি চেম্বার খুলে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ। গরিব বাবা-মা, যাঁদের সামর্থ্য নেই তাঁরা ডাক্তারবাবুর করুণার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন হাসপাতালে।


যদিও হাসপাতালেরই উল্টোদিকে ওষুধ দোকানে গিয়ে ডাক্তারবাবুর দেখা পাওয়া যায়নি। তবে চেম্বারের বাইরে বাবা-মায়েদের ভিড় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে সেখানে রোগী দেখা হয়। ওষুধ দোকানের কর্মীরা সাফাই দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু নাকি হাসপাতালেই রয়েছেন। রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, তাঁরা এই সময়েই ডাক্তারবাবুকে দেখান। কিন্তু, এদিন হঠাত্‍ নাকি 'জরুরি কল' পেয়ে বেরিয়ে গেছেন ডাক্তারবাবু।


ডাক্তারবাবু কোথায়? জানেন না হাসপাতালের কর্মীরাই। এমনকি BMOH নিজেই অন্ধকারে। স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তারবাবুর ডাবল ইনকাম নিয়েও কিছুই জানা নেই তাঁর। বললেন অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখবেন।


আরও পড়ুন, সরকারি হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগ সামলাচ্ছেন বহিরাগতরা!