ওয়েব ডেস্ক : মালদার খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে আজই মালদা রওনা হয়েছে সিআইডির একটি টিম। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করা হয়েছে একই বাড়ির তিনজনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মালদায় ব্যবসায়ী দম্পতি খুনের কারণ কী? পুলিস কুকুর এনে তদন্ত চলছে


ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। রাতের খাবার খাওয়ার সময় হয়নি। এমনকী, বাইরের পোশাক ছাড়ার সময়ও মেলেনি। ধারাল অস্ত্রের কোপে নিথর হয়ে গেছেন রামরতন আগরওয়াল। খুন হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। খুন করা হয় বাড়ির কেয়ারটেকারকে। মালদার ইংরেজবাজারে অভিজাতও পাড়া বিবেকানন্দ পল্লীতে একই বাড়িতে খুন হয়েছেন তিনজন। বাড়িতে চলে লুঠপাট। গোটাবাড়ি লণ্ডভণ্ড। অথচ বুঝতে পারেননি পড়শিরা। সকালে পরিচারিকা এসে দেখেন বাড়ির সদর দরজা খোলা। এক তলায় পড়ে রয়েছে বাড়ির কেয়ার টেকার গণেশ রামের দেহ। পরিচারিকার চিত্কারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দোতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় গৃহকর্তা রামরতন আগরওয়াল এবং তাঁর স্ত্রী মঞ্জুর রক্তাক্ত দেহ।



কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে খুনী কে? কেনই বা এই খুন?


ইংরেজবাজারের অভিজাত পল্লীতে ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে হত্যালীলা চালাল কারা? খুনের মোটিভই বা কী? তদন্ত করে দেখছে সিআইডি। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিসের কুকুর। পুলিসের অনুমান, পরিচিত কেউই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। পুরো হামলা যে পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিস কর্তারা। তাই প্রমাণ লোপাট করতে বাড়ির সিসিটিভিগুলিও নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে রামরতন আগরওয়ালের ঘরে ঢোকার ছবি পাওয়া গেছে, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে তিনি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢোকেন।


এদিকে, এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা এলাকা, পুলিস বলছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যবসায়ীরা ৭২ ঘণ্টার ব্যবসা বনধের ডাক দিয়েছেন।