ওয়েব ডেস্ক : দার্জিলিং জেলায় এগোচ্ছেই না কন্যাশ্রী প্রকল্প। জেলা প্রশাসনের বৈঠকে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে,পাহাড়ের জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উন্নয়নের স্লোগানই তৃণমূল সরকারের অন্যতম USP। আর সেই উন্নয়নের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প  কন্যাশ্রী। প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর নজর থাকে এই প্রকল্পে। দার্জিলিংও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু, পাহাড়ে কন্যাশ্রী রূপায়নের পরিসংখ্যান দেখে বেজায় ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও বেশকিছুটা দূরে এই জেলা। আর সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতে হল প্রশাসনের কর্তাদের। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কন্যাশ্রী নিয়ে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবেনা। ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।


তবে, কন্যাশ্রীর লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারার পিছনে উঠে আসছে অন্য কারণ।  রাজনৈতিক মহল বলছে, এধরণের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। তালিকা তৈরি থেকে  অর্থ পৌছনো পুরোটাই তাদের দায়িত্ব। দার্জিলিংয়ের প্রশাসন স্থানীয় গুরুংদের হাতে। ফলে  তারা আদৌ কন্যাশ্রী প্রকল্পের ক্ষেত্রে কতটা উদ্যোগী, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের মাধ্যমে  আদতে যে গুরুংদের বার্তা দিতে চাইলেন, সেটা স্পষ্ট।


এরই পাশাপাশি, দার্জিলিং যেভাবে কংক্রিটের জঙ্গল হয়ে উঠছে তা নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিং কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। আপনাদের ভুটানে গিয়ে দেখা উচিত, কেমন করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে হয়। দার্জিলিংয়ে যেখানে সেখানে যাতে বাড়ি করার অনুমতি না দেওয়া হয় তানিয়েও এদিন সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রেও অভিযোগের তির সেই গুরুংদের দিকে। কারণ, জমি ও প্ল্যান পাশ করানোর দায়িত্ব সেই GTA-র ওপরেই। প্রসাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দে, এবিষয়টিও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। সব মিলিয়ে উন্নয়নের প্রশ্নে গুরুংদের ওপর চাপ বজায় রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, GST-র কোপ পড়তে পারে আপনার বেতনেও!