জোট নিয়ে জট কাটাতে মরিয়া কংগ্রেস ও সিপিএম
জোট নিয়ে জট কাটাতে মরিয়া কংগ্রেস ও সিপিএম। সিপিএম মুখপত্রের অফিসে দুদলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর দুপক্ষেরই দাবি, জটিলতা কাটতে চলেছে। সিপিএম সূত্রে খবর, বেশ কিছু আসনে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে পারে। কংগ্রেসও বামেদের দাবি মেনে কিছু আসনে রদবদলে রাজি।
ওয়েব ডেস্ক: জোট নিয়ে জট কাটাতে মরিয়া কংগ্রেস ও সিপিএম। সিপিএম মুখপত্রের অফিসে দুদলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর দুপক্ষেরই দাবি, জটিলতা কাটতে চলেছে। সিপিএম সূত্রে খবর, বেশ কিছু আসনে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে পারে। কংগ্রেসও বামেদের দাবি মেনে কিছু আসনে রদবদলে রাজি।
২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৬ থেকে ১৭টি আসনে জোট ঘিরে জটিলতা। কংগ্রেসের ঘোষিত আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় বামেরা। এর মধ্যে অধিকাংশ আসনই মুর্শিদাবাদে। তারপর থেকেই জোট টিকবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুক্রবার বিকেলে এআইসিসির পর্যবেক্ষক বি কে হরিপ্রসাদের নেতৃত্বে বসেছিল কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠক। সেখানেও এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৩জন প্রার্থীর নাম তৈরি করে পাঠানো হয়েছে এআইসিসি-র কাছে। এর মধ্যে মানস ভুঁইয়া, নেপাল মাহাতো, জ্ঞান সিং সোহনপালের মতো নেতারা আছেন। বাকি কিছু আসনে দুজন করে নাম থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি। প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা থেকেও এদিনের বৈঠকের মূল ফোকাস ছিল জোট জটিলতা কাটানো। প্রদেশ সভাপতির গলায় ছিল জোটের পক্ষে জোরালো সওয়াল।
বৈঠকের শেষে সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান চলে যান সিপিএমের মুখপত্রের অফিসে। সেখানে তখন অপেক্ষা করছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে দুই শিবিরই জানিয়ে দেয়, জোট জটিলতা কাটার পথে।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, জঙ্গিপুর আসনে প্রার্থী প্রত্যাহার করবে সিপিএম। কংগ্রেসও কিছু আসন রদবদল করবে। মুর্শিদাবাদ নিয়ে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন অধীর চৌধুরী। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই এই জটিলতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
সিপিএমের কাছে এখন মূল সমস্যা আরএসপি। কারণ, তারা এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করতে নারাজ। যদিও বৈঠকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক কংগ্রেস নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন, জোটের স্বার্থে তাঁরা আবার কথা বলবেন আরএসপি নেতৃত্বের সঙ্গে।