ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পদে নির্বাচনের ঠিক আগে অপহৃত হলেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য টুম্পা মারজিত ও তাঁর স্বামী। কংগ্রেসের অভিযোগ, দলে টানতেই টুম্পাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অপহরণের প্রতিবাদে এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধে নামেন অধীর চৌধুরী নিজে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের সদল আমজোহা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতেরই কংগ্রেস সদস্য টুম্পা মারজিত।  অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকা হামলা হয় টুম্পা মারজিতের বাড়িতে। বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় টুম্পা ও তাঁর স্বামীকে। পরে টুম্পা মারজিতের স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এখনও খোঁজ নেই ওই মহিলা কংগ্রেস কর্মীর।


কেন অপহরণ?
আগামী ৩০ অগাস্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে নির্বাচন। টুম্পা মারজিত কংগ্রেসের তফশিলী প্রার্থী। কংগ্রেসের অভিযোগ দলে টানতে না পেরেই টুম্পাকে অপহরণ করা হয়েছে। 


পঞ্চায়েতের দখল নিতে অপহরণ?
পঞ্চায়েত সদস্যার অপহরণ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পঞ্চায়তের দখল নিতেই টুম্পা মারজিতকে অপহরণ করা হয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বহরমপুর গির্জা মোড়ে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কংগ্রেস। নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজেই।  দিনের ব্যস্ত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ হওয়ায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। অবরোধ তুলতে দফায় দফায় অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন পুলিস অফিসাররা। শেষ পর্যন্ত পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অধীর। যদিও, অপহৃত পঞ্চায়েত সদস্য ফিরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধীর।


তবে কংগ্রেসের অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। ঘাসফুলর দাপটে নিজের গড়েই চাপে অধীর চৌধুরী। দলীয় কর্মী অপহরণের ঘটনাকে হাতিয়ার করে সম্ভবত নতুন করে লড়াইয়ের চেষ্টায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।