ওয়েব ডেস্ক: ডাক্তারের চাপ কমাতে সরকারি হাসপাতালে চুক্তিতে চিকিত্‍সক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আউটডোরে রোগী দেখার বিনিময়ে ঘণ্টার হিসেবে সাম্মানিক পাবেন চুক্তির ডাক্তাররা। কিন্তু, সেই চুক্তির টাকার অঙ্ক ছাপিয়ে যাচ্ছে পুরো সময়ের ডাক্তারদের রোজগারকেই। বৈষম্যের অভিযোগ সরব সরকারি চিকিত্‍সকরা। একের পর এক নতুন হাসপাতাল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু চিকিত্সক নেই। বিরোধীদের মুখে এমন অভিযোগ হামেশাই শোনা যায়।  স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা সাম্প্রতিক এক নির্দেশিকা এই অভিযোগকে আরও জোরদার করেছে।  ঘাটতি মেটাতে এবার বেসরকারি চিকিত্সকদের  সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে টানতে চায় স্বাস্থ্য দফতর। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী-সরকারি হাসপাতালের আউট ডোরে রোগী দেখতে পারবেন চুক্তিভিত্তিক ডাক্তাররা।ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সব ধরণের সরকারি হাসপাতালে তাঁদের নিয়োগ হবে।রোগী দেখার পারিশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টা পিছু সাম্মানিক পাবেন চিকিত্‍সকরা। MMBS ডিগ্রিধারী  চিকিত্সক হলে সাম্মানিক ঘণ্টায় আটশো টাকা।প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রাইভেট চিকিত্সকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান আছে? টিকিট কাটেননি? তাহলে বাজেটটা বেশি করুন!


সপ্তাহে তিনদিন আউটডোরে রোগী দেখবেন তাঁরা।দশ বছরের কম অভিজ্ঞতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সান্মানিক ঘণ্টায় ১ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকের অভিজ্ঞতা ১০ বছরের বেশি হলে সাম্মানিক ঘণ্টায় দেড় হাজার টাকা।নয়া নির্দেশিকা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ সরকারি স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরমহলে। কারণটা লুকিয়ে আছে টাকার অঙ্কে। এই ব্যবস্থায় এক MMBS পাস প্রাইভেট ডাক্তার মাসে সর্বোচ্চ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা আয় করতে পারেন। এক সদ্য পাশ করা MBBS চিকিত্সক সরকারি চাকরিতে ঢুকলে বেতন পান ৪২ হাজার টাকা। নয়া নির্দেশিকায়, ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতার বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সক মাত্র ১২ দিনে রোজগার করবেন ৭২ হাজার টাকা। গোটা মাস ডিউটি করে সমান অভিজ্ঞতার এক সরকারি চিকিত্সক হাতে পান ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।প্রাইভেট চিকিত্সকের অভিজ্ঞতা ১০ বছরের বেশি হলে, বারো দিনে ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা রোজকার করতে পারবেন তিনি।সমান অভিজ্ঞতার একজন সরকারি  বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক বা অধ্যাপক  মাস মাইনে পান ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ। নেই বদলির ঝামেলা। করতে হবে না নাইট ডিউটি। ইনডোরে রোগী দেখার প্রশ্ন নেই। প্রশাসনিক কোনও ঝামেলায় মাথা ঘামাতে হবে না। ফায়দাই ফায়দা। চিকিত্সক মহলের আশঙ্কা, নয়া ব্যবস্থা জারি থাকলে ভবিষ্যতে সরকারি হাসপাতালে পূর্ণ সময়ের ডাক্তার পাওয়াই মুশকিল হবে।


আরও পড়ুন  বাড়ির বাথরুমে পাওয়া গেল টাকার খনি