রাজ্যের সর্বত্র সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। কিন্তু মালদার রতুয়ায় সেই তৃণমূল আর সিপিএমই গলায় গলায়! তৃণমূলের সমর্থন নিয়েই আজ মালদার রতুয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির দখল ধরে রাখল বামফ্রন্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রতুয়া একনম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের ভোটাভুটি ছিল মঙ্গলবার। বামফ্রণ্টের আরএসপি প্রার্থীর জয়ে  এলাকা সরগরম। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সমর্থনেই কংগ্রেসকে হারিয়ে ফের  বামদের  দখলে বোর্ড। সম্ভবত কংগ্রেসকে ঠেকাতেই এই কৌশল তৃণমূলের।


ভোটের ফল
--------
গত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টির মধ্যে বামফ্রন্টের দখলে ছিল ১৪টি আসন


কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৩টি আসন


তৃণমূলের দখলে ছিল ২টি আসন।  নির্দল প্রার্থী  জয়ী হন একটি আসনে


বছর ঘুরতেই পালাবদল। বোর্ড টালমাটাল। বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা। বাম শিবিরের ৫জন যোগ দেন কংগ্রেসে। এবছরের ১০ জানুয়ারি বাম বোর্ডের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠনের আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থা আনা যাবে না। বলে  নির্দেশ জারি করে সরকার। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। আদালতের নির্দেশেই মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়।


মঙ্গলবার ভোটের ফল
------------
২৯টি আসনের মধ্যে বামফ্রণ্ট পেয়েছে ১৫টি আসন


কংগ্রেস পেয়েছে ১৪টি আসন


সূত্রের খবর, ২ তৃণমূল সদস্য ভোট দিয়েছেন বাম প্রার্থীকেই


দল ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেওয়া দলছুট ৩ সদস্যের ভোটও  বামপ্রার্থী পেয়েছেন বলে খবর


কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত এক সদস্যও বাম প্রার্থীকে ভোট দেন


সমঝোতা আড়াল করতে যুক্তি খুঁজছেন বামেরা। অন্যদিকে, আঁতাত নিয়ে সরব কংগ্রেস। জেলা সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন। জেলার এক মন্ত্রীর নির্দেশেই বামেদের সঙ্গে তৃণমূলেরএই গোপন সমঝোতা বলে অভিযোগ। তৃণমূল শিবিরের অবশ্য মুখে কুলুপ।