ওয়েব ডেস্ক : মিসিং গার্ল। পুত্র সন্তানের প্রতি বাড়তি নজর আর কন্যা সন্তানকে অবহেলা। যার জেরে শিশুকন্যাদের হারিয়ে যাওয়া। মিসিং গার্ল শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন অমর্ত্য সেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট আর শিশু অধিকার সংস্থা CRY-এর গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এ রাজ্যে এই নিখোঁজ শিশুকন্যাদের সংখ্যা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। শুধু এক্ষেত্রে মিসিং গার্লের সংজ্ঞাটা একটু অন্যরকম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য বলছে, ২০১৪-য় সারা দেশের মধ্যে এরাজ্যে নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পশ্চিমবঙ্গের পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশ। গোটা দেশে নিখোঁজ শিশুদের মধ্যে এই চার রাজ্যেই নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪-য় সারা দেশে যত শিশু নিখোঁজ হয়েছে তার মধ্যে ২১.৬ শতাংশ শিশু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যার মানে দাঁড়ায় গোটা দেশে প্রতি পাঁচজন নিখোঁজ শিশুর মধ্যে একজন এরাজ্যের।  


শতাংশের বিচারে নিখোঁজ শিশুর সংখ্যায় এরাজ্য প্রথম। বিপদের এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে শিশুকন্যাদের বিপদ অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে বেশি। ২০১৪-য় গোটা দেশে নিখোঁজ শিশুদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মেয়ে। এরাজ্যে তা ৭০ শতাংশ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য ঘেঁটে CRY বলছে,


গোটা দেশে নাবালিকা পাচারের যত অভিযোগ নথিভুক্ত হয় তার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার ও ওড়িশা - এই চার রাজ্যে।


নাবালিকা পাচারে নথিভুক্ত অভিযোগের ৪০ শতাংশই আবার এ রাজ্যে।



এখন প্রশ্ন, নিখোঁজ নাবালিকারা যাচ্ছে কোথায়?


বিশেষজ্ঞরা বলছেন পাচারকারীরা নাবালিকা পাচারের প্রচলিত ছক বদলে ফেলেছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আসছে নানা প্রলোভন। সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার মতো নানা কথা বলে মেয়েদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। গরিব বাবা-মা অনেক সময় বুঝতে পারছেন না, নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে যার বিয়ে দিচ্ছেন সে আসলে নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত। পরিচিত নিষিদ্ধ পল্লির বদলে নানা পর্যটন কেন্দ্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হচ্ছে।


শিশু সুরক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমবি লোকুর। পর্যটনকেন্দ্রে নাবালিকাদের দেহব্যবসায় নামানর প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। নারী পাচারকারীরা যে কৌশল বদলাচ্ছে তা মানছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও।