ওয়েব ডেস্ক: মালদহে ময়নাতদন্তের পরেও ১০দিন ধরে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মর্গে। ভিন ধর্মে বিয়ে করার জন্য মৃতার বাপের বাড়ির কেউ মৃতদেহ নিতে আসে না। বেওয়ারিশ লাশ হিসাবেও সত্‍কার করতে পারছে না পুলিসও। প্রশাসনের কাছে পুলিসের আবেদন, দেহ বেওয়ারিস ঘোষণা করা হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামী আছে। আছে বাবা-মাও। তবু লাশকাটা ঘরে পরে রয়েছে। দশ দিন হল আসেনি কেউই। এগিয়ে আসেনি কেউ সত্‍কার করতে। মহাফাঁপরে পড়েছে পুলিস। লাশের কী হবে?  বেওয়ারিশ লাশ বলে পুড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। কারণ, পরিচয় সবাই জানে। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিস। কিন্তু লাশের গতি করা সম্ভব হচ্ছে না।


মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাট্টা এলাকায় ব্যবসায়ীর মেয়ে আশা জয়সওয়াল। বাড়ির অমতে, ২০১৪ সালে বিয়ে করেন চাঁচোল এলাকার জনৈক শেখ বিরুকে। এরপরেই মেয়ের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখেনি আশা জয়সওয়ালের বাবা। দু বছর পর চলতি মাসের ৮ই জুন আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় আশার।


মেয়ের মৃত্যুর পর চাঁচোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আশার বাবা অরুণ জয়সওয়াল। তাঁর অভিযোগ, আশাকে পুড়িয়ে মেরেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচোল থানার পুলিস। ময়না তদন্তের জন্য আশার দেহ পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সমস্যা শুরু হয় এর পর থেকেই। কারণ ময়না তদন্তের পর দেহ নিতে আসেনি কেউই। পুলিসি তদন্তে ভীত আশার স্বামী শেখ বীরু, শ্বশুড় শেখ সইদ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আর আশার বাবা বলছেন, তিনি দেহ নেবেন না, সমস্তরকম সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন আশার সঙ্গে। এই অবস্থায় পুলিস অনুমতি চাইছে বেওয়ারিশ লাশের মত দেহটিকে সরকারি নিয়মানুযায়ী সত্‍কার করতে।