ওয়েব ডেস্ক: ছোট্ট বাচ্চা গুলো যখন অসুস্থ হত , তখন রাতভর হাসপাতালের বেডের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে যেত উদিত। যখন ছোট্ট বাচ্চাগুলো চান করতে গিয়ে হিমশিম খেত, তখন তাদের মধুসূদন দাদা হয়ে উঠত উদিত। মূক-বধির ছেলেমেয়েগুলোর যখন আম-জাম-পেয়ারা খাওয়ার ইচ্ছে করত, তখন সেই আবদার মেটাত উদিত। উদিত আর নেই। ভাইদের জন্য জাম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে । এরপর থেকে উত্তরদিনাজপুরের কর্ণজোড়ার মূক-বধির স্কুলে আরও নীরবতা, আরও শূন্যতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই তো কালই ছিল আম-লিচু পেড়ে খাওয়ার দিন। স্কুলেরই গাছ থেকে পেড়ে সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়া। সকাল থেকে তাই স্কুলে সেদিন উত্‍সবের মেজাজ। আর সবার আজ আম-লিচু পাড়ার দিন। সেই আনন্দে সকাল থেকেই মশগুল ছিল ওরা। গাছ থেকে আম পাড়ার আনন্দে শুক্রবারও হাসিতে ঝলকে উঠেছে কচি কাঁচাদের মুখ। ওদের সকলের দাদা উদিত। এরা সকলেই উত্তরদিনাজপুরের কর্ণজোড়ার মূক-বধির আবাসিক বিদ্যালয় সূর্যোদয়ের পড়ুয়া। ছোট ভাই-বোনদের আবদারে গাছের ওপরে তরতরিয়ে  উঠেপড়েছিল উদিত আর পলাশ। তারপরেই দুর্ঘটনা। মগডাল থেকে নীচে পড়ে মাথায় গুরুতর চোট পায় উদিত। শনিবার সুর্যোদয়ের সব বন্ধুকে ছেড়ে চলে গেছে সবার প্রিয় উদিত দা। গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলাশ।


একদিনের ব্যবধানে বদলে গেছে সূর্যোদয়ের পরিবেশ। উদিতের মর্মান্তিক গুডবাইটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কেউই। ওদের মনের কথা, দুঃখের কথা, সব যে সহজেই বুঝে নিত উদিত দা। এখন আর সে সব কথা কাকে বলবে ওরা? এরপর সূর্যোদয়ে আর কোনও দিন  উদিত হবে না উদিত।