ওয়েব ডেস্ক : নোট বাতিলে এবার সঙ্কটে রাজ্যের কৃষি। এখনও অধিকাংশ জায়গায় কাটা যায়নি ধান। আলুর বিজ বোনাও শুরু হয়নি। ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে চাষের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছেন কৃষিমন্ত্রী। অঘ্রানের প্রথম সপ্তাহ শেষ... তবে গ্রাম বাংলার ধান কাটার ব্যস্ততায় এবার যেন ভাটার টান মাঠেই পড়ে রয়েছে ধান। ধান কাটার লোক নেই... চাষীর হাতে নেই ফসল কেটে ঘরে তোলার নগদ পয়সা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোট সমস্যায় জেরবার কৃষকরা। কৃষি মন্ত্রীর দাবি, আশি শতাংশ জমির ধান এখনও কাটা যায়নি। ধান কাটার পুরো প্রক্রিয়ায় বিঘা প্রতি খরচ ৭হাজার টাকা। এর অধিকাংশটাই দিন মজুরদের পারিশ্রমিক। বেশি দিন মাঠে পড়ে থাকলে ধান ঝরে নষ্ট হয়ে যাবে। তার সঙ্গে রয়েছে হিম পড়ে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। এখনই ধান কাটা না হলে পরের চাষের জন্যও জমি তৈরি করা হয়ে উঠবে না। শুধু ধান নয়। নোট সমস্যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বাঙলার আলু চাষও। এটাই আলুর বীজ বোনার সময়। তবে টাকার অভাবে তা হচ্ছে না। প্রতি বিঘা আলু চাষের জন্য বীজের খরচ ১০হাজার টাকা। সার লাগে ৭ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে ১বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গড়ে ২০হাজার টাকা খরচ। ৭ই  নভেম্বর থেকে ১৫ই  ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এভাবে চললে আলুর ফলন ৪০% কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর দাবি, এভাবে চললে রাজ্যে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হবে। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বর্ধমানে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ভাতারের সাহেবগঞ্জ সমবায়ে কৃষকরা রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন প্রতিনিধি দেবযানী চক্রবর্তীর কাছে হিমের মধ্যে মাঠেই পড়ে আছে রক্ত জল করে তৈরি করা সোনার ফসল। কবে হাতে নোট আসবে, কবে ফসল কেটে তোলা যাবে ঘরে, সে অপেক্ষায় এখন কৃষকরা।