ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিলের ধাক্কায় আলু চাষের সময় চাষিদের হাতে এ বার কার্যত কোনও টাকাই ছিল না। সেই ধাক্কা সামলাতে বেশিরভাগ চাষি মোটা টাকা ধার করে আলু বুনেছিলেন। আশা ছিল, ভাল দাম পেলে সঙ্কট সামলে নেবেন। কিন্তু সেই আশায় এখন জল। রাজ্যের প্রধান ৩ আলু উত্‍পাদক জেলা হুগলি, বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে এক বস্তা আলুর দাম তলানিতে। কোনও কোনও জায়গায় ৮০ থেকে ১০০ টাকায় নেমে গেছে বস্তা। এই পরিস্থিতিতে আতান্তরে পড়েছেন আলুচাষিরা। আমরা কথা বলেছিলাম রাজ্যের অন্যতম আলু উত্‍পাদক জেলা হুগলির কৃষকদের সঙ্গে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আলুর দাম যেভাবে পড়ছে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বর্ধমানের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক। 


রাজ্য জুড়ে আলু চাষিদের কষ্ট লাঘবের পরিকল্পনা করছে নবান্ন। সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার ব্যাপারে তোড়জোড় চলছে। সব ঠিক থাকলে আজ নবান্নে আলু নিয়ে মূল্য নির্ধারণকারী টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি উদ্যোগে কবে থেকে আলু কেনা হবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আজকের বৈঠকে। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কেনার পাশাপাশি হিমঘরগুলিতে আলু সংরক্ষণে জোর দিতে পারে সরকার। আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত হিমঘর মালিকদের ১০ শতাংশ জায়গা সরকারের জন্য খালি রাখতে বলা হয়েছে। এই মর্মে হিমঘর কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কৃষি বিপণন দফতর। রাজ্য সরকার চাইলে আইন অনুযায়ী, হিমঘরে আলু সংরক্ষণের জন্য নিজস্ব কোটা নির্ধারণ করতে পারে। বেনফেড, কনফেডের মতো সরকারি সংস্থাগুলির জন্য হিমঘরে আলু সংরক্ষণে ৫ শতাংশ কোটা থাকলেও তা ব্যবহার করা হয় না। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই দেখার।