ব্যুরো: ৬ লক্ষ টাকার কাঁচা মাল। তাও নেহাতই আফিম, চুন, মরফিন ও অ্যামোনিয়া। এসবেই তৈরি হয়ে যায় ১ কেজি ব্রাউন সুগার যার বাজার দাম ৬০ লক্ষ টাকা। দিব্যি ব্যবসা চালাচ্ছিল মুর্শিদাবাদের ডাবলু শেখ ও মুম্বইয়ের শালিখ শেখ। ডাবলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সরঞ্জাম বলতে একটা অ্যালুমিনিয়ামের গামলা আর চুন। অ্যামোনিয়ার মতো আম রাসায়নিক। আর তা দিয়েই মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও মালদার কালিয়াচকে কোটি কোটি টাকার মাদকের ব্যবসা চলছে। সোমবার গভীর রাতে লালগোলার ভগবানগোলা এলাকায় এমনই ভ্রাম্যমাণ মাদক তৈরির চক্রের খোঁজ পেলেন NCB-র গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে খইরুল ওরফে ডাবলু শেখ নামে এক চাঁই। তাকে জেরা করে হতবাক গোয়েন্দারা।


 


কীভাবে তৈরি হয় হেরোইন?


১০ কেজি কাঁচা আফিম থেকে পাওয়া যায় ১ কেজি ব্রাউন সুগার। কাঁচা আফিমকে জলে ফুটিয়ে তার মধ্যে চুন দিয়ে তৈরি হয় মরফিন। মরফিনে একইভাবে মেশানো হয় অ্যামোনিয়ার মতো রাসয়নিক। তা থেকে মেলে ১ কেজি হেরোইন।


 



আর গোটা ব্যবসায় লগ্নি যা লাভ ১০ গুণ। কীভাবে?



১০ কেজি কাঁচা আফিমের দাম ৬ লক্ষ টাকা। ১ কেজি ব্রাউন সুগার তৈরির মজুরি ৫০,০০০। রাসয়নিকের খরচ সব মিলিয়ে ১০,০০০। আর এইটুকু বিনিয়োগে তৈরি হচ্ছে ৬০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। কলকাতা বাজারে এই ব্রাউন সুগারের দাম ১ কোটি টাকা। আফিম থেকে ব্রাউন সুগার তৈরিতে মালদা ও মুর্শিদাবাদ এলাকায় কুখ্যাত ডাবলু শেখ। তাকে জেরা করে হদিশ মিলেছে গোটা চক্রের চাঁই শালিখ শেখের। মালদার বাসিন্দা শালিখ মালদা ও মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্রাউন সুগার কিনে পাচার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মুম্বইতে বসে গোটা ব্যবসা অপারেট করে শালিখ। তার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে স্পষ্ট, শুধু দেশ নয় দেশের বাইরেও যোগাযোগ রয়েছে শালিখের। ডাবলুকে ধরে শালিখের হদিশ পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।