ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গলমহলসহ রাজ্যের ১৮টি আসনে ভোট গ্রহণ। সুষ্ঠভাবে ভোটপর্ব মেটাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখছে কমিশন। ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌছে গেছে বাহিনী। চলছে রুটমার্চ। কাল দিন ভর আকাশ পথে টহল দেবে হেলিকপ্টারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচনী সন্ত্রাস। ভোটে বাধার অভিযোগ এরাজ্যের ভোটে বারবারই উঠেছে। এবার অনেক আগে থেকেই ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জঙ্গলমহলের মাওবাদী এলাকাগুলির উপরেও প্রথম থেকে কমিশন বিশেষ নজর দিয়েছে । ভোটের দিন যাতে কোনওভাবে অশান্তি না হয় তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।


সোমবার জঙ্গলমহল সহ ১৮ আসনে ভোট। এলাকায় এলাকায় পৌছে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় পুরুলিয়ার ৯টি আসনে ভোট। মোতায়েত করা হচ্ছে ১৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার যে কটি এলাকায় ভোট তার মধ্যে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে এই পুরুলিয়াতেই। এরমধ্যে ৯৯৫টি অতিস্পর্শকাতর বুথ।


৪৯৫টি স্পর্শকাতর বুথ। ১২ সুপার সেনসেটিভ বুথে রাখা হচ্ছে সিসিটিভি নজরদারি। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় বেশ কয়েকটি বুথে সোমবার সকালে ভোটকর্মীদের পাঠানো হবে। বিশেষ সতর্কতামূলক কারণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।


প্রথমদফার প্রথম দিনে ভোট হবে বাঁকুড়ার ৩টি বিধানসভা এলাকায়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ৬২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাখা হচ্ছে ২৫ হাজার রাজ্য পুলিসকর্মীও।


মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাসহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬ আসনে ভোট সোমবার। ভোটের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১০৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার নিরাপত্তার উপর।


বেলপাহাড়িতে ১০ কোম্পানি। বিনপুরে ১১ কোম্পানি। ঝাড়গ্রামে ২৪ কোম্পানি। জামবনীতে ১২ কোম্পানি। সাঁকরাইলে ১৩ কোম্পানি। বেলিয়াবেড়ায় ১০ কোম্পানি এবং নয়াগ্রামে ১৪ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।


রবিবার রুটমার্ট করেছে বাহিনী। স্থানীয় ভোটারদের আশ্বস্ত করতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জওয়ানরা। তবে রাজ্যপুলিস নয়, ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে মূলত থাকবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীই। জঙ্গলমহলের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কমপক্ষে ৮জন জওয়ান (১সেকশন)। অন্য এলাকায় ভোটকেন্দ্র পিছু কমপক্ষে চারজন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। শুধুমাত্র লাইন ঠিক করাতে রাখা হবে একজন করে লাঠিধারী রাজ্য পুলিস। এছাড়া আকাশপথে নজরদারি চালাবে ২টি হেলিকপ্টার। আকাশপথে নজরদারিতে সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে তা জানানো হবে এলাকার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের। রাখা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সও।


এই ব্যবস্থার পর প্রয়োজনে আরও বাহিনী বুথে বুথে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্যও নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।