রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন, আসতে পারে বিশাল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবারের ভোটে আরও আঁটসাট করা হচ্ছে নিরাপত্তা। আসছে বিশাল সংখ্যক বাহিনী। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পঁচাত্তর হাজার জওয়ানকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।
কলকাতা : রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবারের ভোটে আরও আঁটসাট করা হচ্ছে নিরাপত্তা। আসছে বিশাল সংখ্যক বাহিনী। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পঁচাত্তর হাজার জওয়ানকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তত্পরতা বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে তারা উদ্বিগ্ন, গত মঙ্গলবারই কমিশন স্পষ্ট করে দেয় । বীরভূমের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলার পুলিশ সুপারকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারকে ভিডিও কনফারেন্সে ওই বার্তা দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। পুলিস সুপারকে বলা হয়, নানুর, খয়রাশোল এবং ময়ূরেশ্বরে মুড়ি-মুরকির মতো বোমা পড়ছে। তাণ্ডব চালাচ্ছে মাস্কেট বাহিনী। থানাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। এইসব এলাকার আইন-শৃঙ্খলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কড়া হাতে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কমিশনের উদ্বেগ যে অমূলক নয়, আজ নানুরের নাহিনা গ্রামের ঘটনাই তার প্রমাণ। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সফিকুল মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। উঠে আসে গদাধর হাজরা এবং কাজল শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের অভিযোগ।
এইসব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কমিশনের সিদ্ধান্ত, গত বিধানসভা ভোটের চেয়ে অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি শতাংশ বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের ভোটে কাজে লাগানো হবে। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, অন্তত সাতশো পঞ্চাশ কোম্পানি আধাসেনার রাজ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকারকে এখন থেকেই ওই বাহিনীর থাকার বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মূলত স্কুল-কলেজে শিবির করে রাখা হয়। সে কারণে পানীয় জল, শৌচালয় নির্মাণের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের এক প্রতিনিধি দিল্লি গিয়ে কমিশনের কাছে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট দেবেন। এরপর চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদির নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ ফের আসতে পারে রাজ্যে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং রাজ্যের আমলাদের সঙ্গে কথা বলে ফুল বেঞ্চ ফিরে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা চূড়ান্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।