ওয়েব ডেস্ক: শাসক-বিরোধী-আমলা কাউকেই রেয়াত নয়। ভোটের আগে তা বুঝিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁরাই রিপোর্ট দেবেন কমিশনে। তবে এবার বিতর্কে তাঁদেরই একজন। অন ডিউটিতে রীতিমতো দরদস্তুর করে, ডিসকাউন্টে কিনলেন শাড়ি। তিনি বিশেষ পর্যবেক্ষেক সুনীল দত্ত। রাজস্থানের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিস, টেলিকম অ্যান্ড টেকনিক্যাল সুনীল দত্তের নেতৃত্বেই মুর্শিদাবাদে পৌছে কাজ শুরু করেছে ৪ সদস্যের বিশেষ দল। কাল বহরমপুরে সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক বৈঠক, থেকে বুথ পরিদর্শন। সবই চলছিল ঠিকঠাক।


তবে এরপরেই যা হল তাতে চক্ষুচড়কগাছ আম জনতার। রীতিমতো ৬ গাড়ির কনভয় হাঁকিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষকরা বেরোলেন শপিংয়ে। বিখ্যাত মুর্শিদাবাদ সিল্কের কথা শুনে এসেছিলেন। এবার নবাবের জেলায় এসে সেই সুযোগ তো আর হেলায় হারানো যায় না। কাজ না হয় পরে হবে। সরকারি গাড়ির কনভয় নিয়ে  সরাসরি খাগড়াবাজারে অভিজাত বস্ত্র বিপনীতে যান ৪ বিশেষ পর্যবেক্ষক। দোকানের সামনে আধঘণ্টা  কনভয় দাঁড় করিয়ে ভিতরে চলল দরদস্তুর, কেনাকাটা। শাড়ি দেখেন সবাই তবে কেনেন শুধুই সুনীল দত্ত। 


জেলা শাসকের গেস্ট হিসেবেই কেনাকাটা সারেন তিনি। এমনকি সরকারি ছাড়টুকুও ছাড়েননি। নিয়েছেন জেলাশাসকের ডিসকাউন্টও। এমনটাই জানালেন দোকান মালিক। কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বলে কথা।  তাই তাঁদের খাতিরও বিশেষ। গোটা কেনাকাটা পর্বে তাঁদের গাইড ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।


তবে বিতর্ক এখানেই। এমন বিশেষ পর্যবেক্ষককের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন, জেলা প্রশাসনের এমন 'আতিথেয়তা' নিলে ভোটের কাজে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেবেন কীভাবে? এই বিতর্কই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।