উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে এবার দক্ষিণবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিস প্রকোপ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঁচজনের দেহে মিলেছে এনসেফ্যালাইটিসের জীবানু। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট ও হাড়োয়ায় অজানা জ্বরে আক্রান্ত প্রায় শতাধিক মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় শুয়োর ধরার অভিযানে সামিল হয়েছে বিভিন্ন জেলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদের পর  বাঁকুড়াতেও ছড়িয়েছে মারণরোগের প্রকোপ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ রোগীর দেহে মিলেছে এনসেফ্যালাইটিসের জীবানু। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন এই রোগ জাপানি এনসেফ্যালাইটিস নয়। ভাইরাল এনসেফালাইটিস। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালস কলেজে।  হাসপাতালের আশেপাশে ঝোপঝাড় আর্বজনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।


প্রবল জ্বর, বমি, পেটের রোগে আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও বসিরহাটের শতাধিক মানুষ। এঁদের মধ্যে কুড়িজনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে জানান বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। এনসেফ্যালাইটিস মোকাবিলায় জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে শুকর ধরার অভিযান।


বর্ধমান শহরের ২২ নম্বরের ওয়ার্ডের কোরাপাড়া থেকে আজ ৪০টি শুকর ধরা হয়। বর্ধমান পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে পুরসভার পঁয়তিরিশটি ওয়ার্ডেই ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চলবে। সব ওয়ার্ড মিলিয়ে শুকরের সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার। সরকারি কোনও খোঁয়াড়ের ব্যবস্থা না থাকায় শুকর ধরার পর তাদের কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুরসভাগুলি।


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী  রিষড়া অঞ্চলেও পুরসবার উদ্যোগে শুরু হয়েছে শুকর ধরার অভিযান। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে সরকারিভাবে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এখনও তাদের কাছে আসেনি।