ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি মাসেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এখনও সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৬ জন। কোচবিহারে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এনসেফালাইটিসের প্রতিষেধকের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে রাজ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার রাতে এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু হয়েছে বিপ্লব রায় নামে ৭ বছরের এক শিশুর। কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির ওই শিশুকে এমজেএন হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। সংক্রমণ নিয়ে আসা রোগীদের রক্ত পরীক্ষার পর ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। সঙ্কটজনক রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে আইসিসিইউতে। তবে এতকিছুর পরও হাসপাতাল চত্বরে জঞ্জালের স্তুপ। 


কোচবিহারে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। প্রকোপ বেশি দু নম্বর মিতালিগঞ্জে। শুক্রবারই তুফানগঞ্জ থেকে এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় পূর্ণিমা দাস নামে বছর দুয়েকের এক শিশুর। বাড়ি অসমের কোকরাঝাড়ের গোঁসাইগাওয়ের বাসিন্দা। নিম্ন অসম থেকে সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে। জাপানি এনসেফালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালেও সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। গত তিনদিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। তবে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার। 


যদিও জলপাইগুড়িতে তেমনভাবে থাবা বসাতে পারেনি এনসেফালাইটিস। বেসরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। তবে এনসেফালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা তেমন না বাড়লেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এনসেফালাইটিসের প্রকোপে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।