৫ বছরে দেশের বাজারে ৪০০ কোটি টাকার জাল নোট ঢুকেছে মালদা থেকেই: ISI-র সমীক্ষা
মালদা সীমান্ত। এদেশে জালনোট পাচারের এপিসেন্টার। নোট বন্দির পরও ছবিটা বদলায়নি এতটুকু। মালদা রুট ধরেই এদেশে ঢুকছে নয়া জাল নোট। চিন্তা বাড়ছে তদন্তকারীদের।
ব্যুরো: মালদা সীমান্ত। এদেশে জালনোট পাচারের এপিসেন্টার। নোট বন্দির পরও ছবিটা বদলায়নি এতটুকু। মালদা রুট ধরেই এদেশে ঢুকছে নয়া জাল নোট। চিন্তা বাড়ছে তদন্তকারীদের।
মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। নোটবন্দির আগে গত ৫ বছরে এই সীমান্তই হয়ে ছিল জালনোট পাচারের সবচেয়ে বড় করিডর। নোটবন্দির পরও ছবিটা এতটুকুও বদলায়নি। চলতি মাসে যে জালনোট উদ্ধার হয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে পাচারের এপিসেন্টার সেই মালদা সীমান্তই। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট।
ISI-র সমীক্ষা বলছে, গত ৫ বছরে দেশের বাজারে ৪০০ কোটি টাকার জাল নোট ঢুকেছে। দেশের বাজারে ঢোকা জাল নোটের ৯০ শতাংশের রুটই মালদা সীমান্ত। আগে পাকিস্তানে ছাপা হয়ে জাল নোট নেপাল-সিঙ্গাপুর হয়ে পৌছত বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জে। সেখান থেকে মালদা সীমান্ত পার করে ঢুকত এদেশে। এখন ঢাকাতেই ছাপা হচ্ছে জালনোট। তারপর পৌচ্ছছে চাপাই নবাবগঞ্জ। সেখান থেকে মালদা সীমান্ত পার করে ঢুকছে এদেশে। নয়া নোট বাজারে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চার দফায় জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবারই মালদা রুট ব্যবহার করে টাকা ঢুকেছে এদেশে। প্রতিক্ষেত্রেই জাল নোটের সঙ্গে যুক্ত কারবারীরা মালদার সঙ্গে সম্পর্কিত।
মঙ্গলবারই জাল নোট পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা উমর ফারুককে গ্রেফতার করে NIA। তার কাছ থেকে ৩টি ২০০০ টাকার জালনোট পাওয়া যায়। তারপর ফারুককে নিয়ে রাতভর যৌথভাবে তল্লাসি চালায় BSF ও NIA। তল্লাসিতে উদ্ধার হয় ২ লক্ষ টাকার জাল নোট। আর এসব থেকেই স্পষ্ট নোটবন্দির পরেও সেই মালদা রুট ব্যবহার করেই জালনোট ঢুকছে এদেশে। সক্রিয় সেই একই নেটওয়ার্ক।NIA ও রাজ্য গোয়েন্দাদের ধরপাকড় থেকেও সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট।