ওয়েব ডেস্ক: বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে আগুন। আজ দুপুরে হাসপাতালের কম্পিউটার সার্ভার রুমে আগুন লাগে। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগীরা। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। তবে বড় কোনও বিপত্তি হয়নি। গোটা ঘটনায় প্রশ্নে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও দগদগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। তবে মুর্শিদাবাদের মতো বড় বিপত্তি এড়ানো গেছে বাঁকুড়ায়। রবিবার দুপুর দুটোর কিছু পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মেন বিল্ডিংয়ে কম্পিউটার সার্ভার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পাশেই মহিলা সার্জিকাল ওয়ার্ড। সেখানেই রোগীর আত্মীয়দের প্রথম ধোঁয়া নজরে আসে।


আরও পড়ুন- রোগ সারাতে ওঝার শরণাপন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এক আদিবাসী যুবকের!


রোগীর পরিজনদের অভিযোগ হাসপাতাল কর্মীরা প্রথমে তাদের কথা মানতে চাননি। তবে ওয়ার্ডে ধোঁয়া ঢুকতে শুরুর পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতাল কর্মীরাও। প্রাণ ভয়ে বাইরে চলে আসেন রোগীরা, সকলের চোখে মুখেই আতঙ্ক।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা শাসক, জেলা সভাধিপতি, ওন্দার বিধায়ক। গত সপ্তাহেই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে অগ্নি নির্বাপন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন, জেলা শাসক। তার পরেই এ ঘটনা।


হাসপাতালের অগ্নি  নির্বাপণের হাল কেমন?


হাসপাতালে রাখতে হবে অগ্নি নির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা। থাকবেন প্রশিক্ষিত অফিসার, থাকতে হবে জলাধার, হোস পাইপের নেট ওয়ার্ক। আমরি কাণ্ডের পর এমনই সব নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর।


সেখানে কেমন হাল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের? খোঁজ নিতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বেশ কিছু সমস্যা।


আরও পড়ুন- মাত্র ছয় বছরের মেয়েকে কুপিয়ে খুন করা হল মুর্শিদাবাদের কান্দিতে!


হাসপাতালের গেট খুবই সংকীর্ণ, নেই তেমন কোনও পরিকল্পিত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা।


রবিবার কর্মীদের তত্পরতা আর দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতি।