ওয়েব ডেস্ক: রাজনীতির দলাদলি ভুলে মিলেমিশে একাকার তৃণমূল-বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। ইভিএমে রাজনীতির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আর বুথের বাইরে নিখাদ সৌভ্রাতৃত্বের ছবি। বীরভূমের ভোটে বিক্ষিপ্ত হিংসার মাঝেও উঠে এ সৌহার্দ্যের এক বিরল ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না, তৃতীয় দফার ভোটে এটাই মূল ছবি নয়। ভোট রাজনীতির তপ্ত প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী এক আবহও  এদিন নজর কেড়েছে মানুষের।


বুথের বাইরে সব দলের কর্মীরা একসঙ্গে আড্ডা মারলেন চুটিয়ে। গলা শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানীয়ে চুমুক।  কোনও ভোটার সমস্যায় পড়লে এগিয়ে যাওয়া। মুরারইয়ের বাইকর গ্রামে ধরা পড়েছে এই ছবি।  রাজনীতির লড়াইটা থাকুক ইভিএমে। রাজনীতিকে কেন্দ্র করে অশান্তি নয়। বার্তা দিল বাইকর গ্রাম।


ভোটের পর মুড়ি-বাতাসা। না, কোনও রাজনৈতিক নেতার ভ্যানিশিং ফর্মুলা নয়। নিখাদ সৌভ্রাতৃত্ব। ময়ূরেশ্বরের ব্রাহ্মণবহরা গ্রামে ধরা পড়েছে এই ছবি। ভোটারদের জন্য দেদার খানাপিনার ব্যবস্থা তিন রাজনৈতিক দলের। তৃণমূল, বিজেপি কিংবা বামেদের ক্যাম্প অফিসে জুটেছে ঘুঘনি, মুড়ি, বাতাসা, চা, বিস্কুট। ভোটাররা ভোট দিতে যাওয়ার পথে বা ভোট দিয়ে ফেরার পথে দক্ষিণ হস্তের কাজ সেরেছেন নিশ্চিন্তে।


তৃণমূলের পার্টি অফিস। কিন্তু এক ছাদের তলায় হাজির সব দলের ভোটাররা। কেউ ভোট দিয়েছেন ঘাস-ফুলে, কেউ বা হাত-হাতুড়িতে। আবার কেউ পদ্মে। কিন্তু সবার জন্যই মুড়ি-আলুরদমের  ঢালাও  ব্যবস্থা। রাজনীতির ভেদাভেদ ঘুচিয়ে, তৃণমূলের কর্মীরা দেখলেন মানবিকতার রং।


রাজনীতিক তিক্ততা ভুলে দিনের শেষে বীরভূমে সৌভ্রাতৃত্বেরই জয়।