ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল জেলা সভাপতির হস্তক্ষেপ। অবশেষে ঘেরাওমুক্ত হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। নম্বর বাড়িয়ে পাশ করানোর দাবি যে মানা হবে না, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ঘেরাওমুক্ত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুদিনের ম্যারাথন ঘেরাও। নিজের ঘরেই আটকে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অবশেষে রবিবার ঘেরাওমুক্ত। ছাত্রছাত্রীদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন গোপালচন্দ্র মিশ্র। অবরুদ্ধ হয়ে এল আন্দোলনকারীদের গলাও। ওঁদের চোখেও জল।


আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল প্রধানত দুটি। বাংলা বিভাগে গড় নম্বর দেওয়ার অভিযোগ। তাই নম্বর বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দিতে হবে পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাসকে। তার জেরেই আন্দোলন। লাগাতার ঘেরাও উপাচার্য। এর মধ্যে শনিবার কড়া বার্তা আসে খোদ শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে।


কোনও ছাত্রছাত্রীকেই নম্বর বাড়িয়ে পাশ করানো যাবে না। অন্যায়  দাবি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। শনিবার ফোনে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এমনই নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে জেলা পুলিস সুপারকে ফোন করে উপাচার্যকে ঘেরাওমুক্ত করারও নির্দেশ দেন।


এরপরেই রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের অন্যায্য দাবি যে কোনওভাবেই মানা হবে না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়।


তবে, পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে। ছোট একটা সেমিনার হলে ছোট করে হয় অনুষ্ঠান। অধ্যাপকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একশোজন ছাত্রছাত্রী। ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।