ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে এ রাজ্যে লগ্নির পরিমাণ কত? কতগুলি সংস্থা রাজ্যে লগ্নি করেছে? বিরোধীদের এই প্রশ্নে বাড়ল বিধানসভার উত্তাপ। আর্থিক সমৃদ্ধির দৌড়ে রাজ্য এগিয়ে চলেছে বলে আজ ফের দাবি করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, প্রতিবারের মতো এ বারও অর্থমন্ত্রী বিষয়টি খোলসা না করে ধোঁয়াশা রেখে দিচ্ছেন।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত মিত্র অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যের আর্থিক সমীক্ষা পেশ করার রেওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিরোধীদের অভিযোগ কত বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে আর কত বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে - ইদানিং একসঙ্গে তার পরিসংখ্যান দেন অর্থমন্ত্রী। ফলে, বাস্তবে লগ্নির পরিমাণ জানা যায় না। শুক্রবার, বিধানসভায় ছিল শিল্প বাজেট। রাজ্যে লগ্নি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, ২০১১-র এপ্রিল থেকে ২০১৫-র জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে প্রস্তাবিত ও বাস্তবায়িত লগ্নির পরিমাণ ৮৪ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের সংখ্যা ৪৩০.



বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইঞা সরকারের কাছে জানতে চান, এই ৮৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে কত কোটি টাকা বিনিয়োগ বাস্তবের মুখ দেখেছে? উত্তরে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। সমালোচনা করেন বলে বিরোধীরা তা দেখতে পাচ্ছেন না। জমি, রাস্তা, জল, বিদ্যুত এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন -এই পাঁচটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জোর দিয়েছে। বন্ধ হয়েছে শ্রমদিবস নষ্ট হওয়া।


বৈঠকে 'দিদি'-র কাছে ধমক খেলেন এই ৩ নেতা!


 


যদিও অর্থমন্ত্রীর কথায় সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁদের অভিযোগ, লগ্নি নিয়ে রাজ্য সরকার যা দাবি করছে বাস্তব পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক খারাপ। রাজ্য সরকার যে পরিমাণ লগ্নি-প্রস্তাবের কথা বলছে বাস্তবে লগ্নি হচ্ছে তার অনেক কম। দুহাজার এগারো থেকে দুহাজার পনেরো পর্যন্ত একইরকম হতাশাজনক ছবি বলে তাঁদের অভিযোগ।