ওয়েব ডেস্ক: বাংলার বুকে ছড়িয়ে আছে কত বনেদি বাড়ির ইতিহাস। কোথাও রাজবাড়ির পুজো, আবার কোথাও জমিদার বাড়ির পুজো। পুরনো সেই সব বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু লোকশ্রুতি ,গল্পগাথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজোর জৌলুস কমলেও, সাবেকিয়ানা এখনও অটুট ইতিহাসের গন্ধমাখা শতাব্দী প্রাচীন এই সব পুজোয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমান রাজবাড়ি- সে রাজাও নেই, সে রাজ্যপাটও নেই। আছে শুধু রাজ পরিবারের মন্দিরটুকু। তারও ভগ্নপ্রায় অবস্থা। বর্ধমান রাজবাড়ির পুজোর বয়স প্রায় চারশো বছর। রাজপরিবারের পটেশ্বরি দুর্গা পুজোর জৌলুস কমেছে কালের নিয়মে। মহালয়ার পরের দিন থেকেই বর্ধমান রাজবাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রতিমা এখানে শালকাঠের কাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠিত। মায়ের বাহন এখানে দুর্গা নয় ঘোড়া।


বর্ধমান আউশগ্রাম কালিকাপুর জমিদার বাড়ির পুজো- আউশগ্রাম দুনম্বর ব্লকের কালিকাপুর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরেও রয়েছে বহু লোকশ্রুতি। সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন এই পুজো। পুজোর তেরদিন আগে পুজোর বোধন হয়ে যায়। শুরু হয় চন্ডীপাঠ। এখানে মহাদেবের টেরাকোটার একটি  প্রাচীন মুর্তি আছে। সপ্তমির দিন কলা বৌকে পালকিতে করে নদী থেকে স্নান করিয়ে আনা হয়। আগে পুজো ঘিরে যাত্রা ,গানের আসর বসত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই জৌলুস আজ আর নেই। রয়ে গেছে পুরনো আভিজাত্য।


আরও পড়ুন খারাপ ক্যাপ্টেনরা কীভাবে কত প্রতিভাবান মানুষের জীবনটা নষ্ট করে দেয়


ডায়মন্ডহারবারের মণ্ডলবাড়ির পুজো- ডায়মন্ডহারবারের মণ্ডলবাড়ির পুজো এবার একশ একান্ন বছরে পা রাখল। বাংলার নবাব তখন হুসেন শাহ। ডায়মন্ডহারবারের তখন নাম ছিল হাজিপুর। সেইসময়ই এলাকার বেশকিছু গ্রাম কিনে জমিদারির পত্তন করেন অযোধ্যারাম মণ্ডল। একসময় এ বাড়িতে কবি গান,তরজা গানের আসর বসত। অষ্টমিতে কুমারী পুজো নবমীতে পাঁঠা বলি দেওয়া হত। জন্মাষ্টমির দিন গঙ্গা মাটি দিয়ে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়।


কোতোয়ালির সেনবাড়ির পুজো- মালদার বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে সেন বাড়ির পুজো অন্যতম। বৈষ্ণব মতে এ বাড়িতে পুজো হয়। স্বপ্নাদেশেই পুজোর সূচনা হয় সেন বাড়িতে। জন্মাষ্টমির দিন থেকে শুরু হয় পুজোর আয়োজন। ঠাকুরের কলা বৌকে পালকি করে নদী থেকে স্নান করিয়ে আনা হয়। পুজোর চার দিন অন্নভোগ হয় না। শুকনো ভোগ দেওয়া হয় প্রতিমাকে। প্রচলন রয়েছে কুমারি পুজোরও।