ওয়েব ডেস্ক: নিলামের ঢঙে শিশুর সওদা। জলপাইগুড়িতে বেআইনি দত্তক চক্র ফাঁস করল CID। জালে চক্রের মূল মাথা চন্দনা চক্রবর্তী। তিনটি বেসরকারি হোমের চেয়ারপার্সন তিনি। গ্রেফতার হয়েছেন হোমের অ্যাডপশন অফিসার সোনালী মণ্ডলকেও। দুজনের ১৩ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিলামের ঢঙে শিশুর ব্যবসা। বেআইনি দত্তকের জমাটি কারবার। চক্রের মাথা এই মহিলাই। চন্দনা চক্রবর্তী।


চন্দনা চক্রবর্তী। বয়স ৫৫। স্থানীয় এক সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। পাশাপাশি, বিমলা শিশুগৃহ সহ ৩টি বেসরকারি হোমের চেয়ারপার্সন। তাঁর বিরুদ্ধে শিশু বিক্রির চক্র চালানোর অভিযোগ।


চুটিয়ে চলছিল ব্যবসা। বাধ সাধল জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। লিগালি ফ্রি ফর অ্যাডপটেশন সার্টিফিকেট ছাড়া ১৭ টি শিশুকে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ তোলে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। অভিযোগ পেয়েই বিমলা শিশুগৃহ থেকে ১৫ টি শিশু অন্য হোমে সরিয়ে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসন। দত্তকের নামে শিশুবিক্রির অভিযোগ পৌছয় নবান্নেও। জলপাইগুড়িতে পৌছয় CID-র ৮ সদস্যের প্রতিনিধিরা। কিন্তু, শুরুতেই অভিযান চালাননি তাঁরা। ৪ দিন অপেক্ষা করেন।


এই সময় হোমগুলিতে কী কাজকর্ম হচ্ছে, কারা আসে কারা যায় তার ওপর নজর রাখা হয়। চন্দনা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক লেনদেনের ওপরও নজর ছিল তদন্তকারীদের। তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়। তারপর উপযুক্ত প্রমাণ হাতে আসতেই চূড়ান্ত অভিযানে ঝাঁপান তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন



শনিবার সন্ধেয় একসঙ্গে তিনটি বেসরকারি হোমে অভিযান চালায় CID। শিশুবিক্রি সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করেছে CID। লক্ষ লক্ষ টাকার বেআইনি লেনদেনের। পুলিস সূত্রে খবর, কুমারী মায়েদের অসহায়তার সুযোগেই এই ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের এনে এই হোমে রাখা হত। প্রসবের পর প্রায় নিলামের ঢঙে, ক্রেতাদের দেখানো হত শিশুদের। তারপর উপযুক্ত দাম যার কাছ থেকে মিলত তাকেই বিক্রি করা হত।


কয়েকমাস আগেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ফাঁস হয় শিশুবিক্রির চক্র। সদ্যোজাতের সওদা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি করা হয় বহুদলীয় কমিটি। কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয় CID-কেও। জলপাইগুড়ির হোমচক্র ফাঁস সেই উদ্যোগেরই ফসল।